ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে উত্তেজনার মাঝেই চীনকে (China) বড় বার্তা দিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। পহেলগাম জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) উল্লেখ না থাকায় সই করলেন না সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (Shanghai Cooperation Organisation) বিশেষ নথিতে। জানা গিয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে পাকিস্তানের (Pakistan) দোষ ঢাকার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। গালওয়ান সংঘাতের পর এই প্রথমবার চীন সফরে গিয়ে জঙ্গি দমন ইস্যুতে ফের ‘নো টলারেন্স’ নীতি বজায় রাখলেন রাজনাথ সিং।
সূত্রের খবর, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বালোচিস্তানে অশান্তি ছড়ানোর কথা উল্লেখ করা থাকলেও মাত্র কিছুদিন আগেই পহেলগামে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা এবং এবং এর জবাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষিত। ভারত মনে করছে, ইচ্ছাকৃতভাবেই এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ত্রাস হামলার বিষয়টি নথি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে এই নথিতে সই করেননি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মার্কিন হামলায় মারাত্মক ক্ষতি ইরানের! বিস্ফোরক দাবি CIA-র
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলির মধ্যে চীন এবং পাকিস্তানের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক থাকার কারণেই নথিকে এরকমভাবে সাজানো হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ চীনই এবারের বৈঠকের আয়োজক এবং দেশ। তাই পহেলগাম হামলার প্রসঙ্গ উপেক্ষা করে, পাকিস্তানের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের বিরুদ্ধাচরণকে অন্তর্ভুক্ত করা, ভারত-চীন সম্পর্কের উপর নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের মঞ্চ থেকেই পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদ এবং শান্তি একইসঙ্গে চলতে পারে না। যারা বিদেশ নীতির অঙ্গ হিসেবে জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করে, তারা চূড়ান্ত পরিণতি ভোগ করবেই।” এরপরেই তিনি পহেলগাম হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং জানান, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আছে, এবং সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরগুলিকেও ধ্বংস করার অধিকার ভারতের রয়েছে।”
দেখুন আরও খবর: