ওয়েব ডেস্ক: পহেলগাম জঙ্গি হামলা এবং তার পর ভারতের পাল্টা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এই কর্মসূচিতে কংগ্রেস (Congress) থেকে ছিলেন সাংসদ শশী থারুর (Shashi Tharoor)। আর এই সফরে একাধিক দেশ থেকে থারুরের মোদি-বন্দনা শোনা গিয়েছিল। এমনকি কেন্দ্র সরকারের দরাজ প্রশংসাও করেন এই কংগ্রেস নেতা। তা নিয়ে যে চর্চা হয়নি এমনটা নয়। তবে এবার শশীর মোদি-প্রীতি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করল কংগ্রেসের কোর কমিটি।
বিদেশের মাটিতে শশী থারুরের বক্তব্যের বিরোধিতা করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) স্পষ্ট ইঙ্গিত দলেন যে, দল হয়তো আর থারুরের অবস্থান মেনে নিতে রাজি নয়। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে দেশ আগে। কিন্তু কারও কারও কাছে মোদি আগে! যার যা খুশি লেখার স্বাধীনতা আছে।” তাঁর এই কটাক্ষে থারুরকে কার্যত মোদিবাদী বলে অভিহিত করা হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা।
আরও পড়ুন: স্লোগানেই হার, নাকি সাংগঠনিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?
আসলে দিন কয়েক আগেই একটি সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে থারুর লিখেছিলেন, “তেজ, গতিশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তি—প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Narendra Modi) এই তিনটি গুণ ভারতের জন্য সম্পদস্বরূপ।” শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন, “মোদির নেতৃত্বে ভারতের কূটনীতি আরও সুসংবদ্ধ ও কার্যকর হচ্ছে।” সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বিদেশে গিয়ে তিনি নাকি এসব উপলব্ধি করেছেন। থারুরের এই মন্তব্য কংগ্রেসে চরম অস্বস্তির জন্ম দেয়। সেই থেকেই শুরু হয় সমালোচনা।
উল্লেখ্য, এক সময় কংগ্রেস সভাপতির পদপ্রার্থী হিসেবে নাম তুলেছিলেন থারুর। সেই শশী থারুর আজকের দিনে দলের অবস্থান থেকে এত দূরে সরে গেছেন যে, তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। তিনি যদিও জানিয়েছেন, বিজেপিতে যোগদানের কোনও তাড়না তাঁর নেই।
দেখুন আরও খবর: