ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধ যে শুধুমাত্র বিপর্যয়ই ডেকে আনে, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হল গাজা (Gaza)। ঠিক যেন একটা ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে একটা গোটা দেশ। আর এবার চরম অনাহার গ্রাস করছে গাজাবাসীকে। দিনের পর দিন না খেয়ে থাকা, বোমার শব্দে ঘুমভাঙা, আর অসহায় চোখে অপেক্ষা—এই এখন গাজার বাস্তবতা। রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) সাম্প্রতিক রিপোর্টে ধরা পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের (Middle East) এই দেশের ভয়াবহ অবস্থা। গাজা ভূখণ্ডে এখন শুরু হয়েছে অনাহারের মহামারি। বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবিক সহায়তা সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত গাজার অন্তত ১৮,৭৪১ জন শিশু গুরুতর অপুষ্টিতে ভুগছে। শুধু চলতি জুলাই মাসেই ১,৬৪৮ জন শিশুকে অপুষ্টিজনক অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এই মুহূর্তে ১৭ শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানানো হয়েছে। এই সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে, তাতে খুব একটা সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: এই ৭ কারণে ‘রহস্যময় শক্তি’র ইরানকে হারানো প্রায় অসম্ভব
এদিকে ইজরায়েলের (Israel) অবরোধে কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল গাজায় ত্রাণ সরবরাহ। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কিছুটা ছাড় দেয় নেতানিয়াহুর সরকার। কিন্তু পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, যেভাবে গাজায় ত্রাণ পৌঁছচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। গাজার অধিকাংশ মানুষ দিনে এক বেলার খাবারও জোগাড় করতে পারছেন না।
এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ের বিষয়, এখন আর ত্রাণশিবিরও নিরাপদ নয় সেখানে। অনেক সময়ে শিবিরে যাওয়ার পথেও হামলা হচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে, গাজার একটি ত্রাণ লাইনে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষের ওপর ইজরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২৭ মে থেকে এখনও পর্যন্ত ত্রাণ নিতে গিয়ে ৪০০ জনের বেশি গাজাবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এই তালিকায় শিশুরাও রয়েছে।
দেখুন আরও খবর: