ওয়েবডেস্ক- দেশের জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি নিয়ে ফের কংগ্রেস সরকারকে (Congress Government) আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য, দেশে জরুরি অবস্থা জারি সংবিধানের চেতনাকে লঙ্ঘন (Constitution Violation) করা হয়েছিল, সে কথা আজও কোনও ভারতীয় ভুলতে পারেননি। জরুরি অবস্থা জারির ৫০ বছর পূর্তিতে এইভাবেই নাম না করে কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ১৯৭৫ (1975) সালের ২৫ জুন দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ( Former Prime Minister Indira Gandhi) ৷ আজ বুধবার জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি (50th Anniversary Emergency) উপলক্ষ্যে এক্স হ্যান্ডেলে একের পর এক পোস্ট করে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধানমন্ত্রী।
‘The Emergency Diaries’ chronicles my journey during the Emergency years. It brought back many memories from that time.
I call upon all those who remember those dark days of the Emergency or those whose families suffered during that time to share their experiences on social…
— Narendra Modi (@narendramodi) June 25, 2025
প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সংবিধানে এই জরুরি অবস্থাকে অন্ধকারতম অধ্যায় বলে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, এই অধ্যায়ের আজ ৫০ বছর পূর্ণ হল। এই দিনটিকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে পালন করে দেশবাসী। দেশের সংবিধানের মূল্যবোধ, গণতান্ত্রিক অধিকার, সংবাদ মাধ্যমের অধিকার- সব কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। কারাগারে বন্দি করা হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, ছাত্রছাত্রী, সমাজকর্মী থেকে সাধারণ মানুষকে। গণতন্ত্রকে বন্দী করে রেখেছিল তৎকালীন কংগ্রেস’।
আরও পড়ুন- ৪১ বছরের অপেক্ষার অবসান, মহাকাশের পথে ‘ড্রাগন’, ইতিহাস গড়লেন শুভাংশু
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, অন্ধকার সেই অধ্যায়ের কথা ভারতবাসী আজও ভোলেনি। তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “সংবিধানের চেতনার লঙ্ঘন, সংসদের কণ্ঠস্বর রোধ এবং আদালতকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা, সেই সমস্ত বিষয়গুলি আজও প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক মনে রেখেছে। দরিদ্র থেকে প্রান্তিক মানুষকে লক্ষ্য করে তাদের মর্যাদার অবমাননা করা হয়।
সেই সময় যারা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে যারা দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছিলেন সেই সকল ব্যক্তিকে আমার স্যালুট। সমাজের প্রতিটি মানুষ সকল স্তরের ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ মানুষ একত্রিত হয়ে লড়াই করেছেন। তাদের সেই সম্মিলিত লড়াইয়ের জন্য নতুনভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার।