ওয়েবডেস্ক- ওবিসি (OBC Case) নিয়ে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী (Justice Tapabrata Chakraborty) ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ (Interim suspension) জারি করেছিল। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার (State Government)। রাজ্যের দাবি এই স্থগিতাদেশ থাকলে কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত এসএসসি’র ২০১৬ র নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে যাবে। তাই এই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ খারিজ করা হোক।
উল্লেখ্য, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায় মেনে সমীক্ষা করা হয়নি। কোনও ধরনের বিজ্ঞতি জারি করা হয়নি। রাজ্য ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ কমিশনের যুক্তি ছিল, সমস্ত নিয়ম মেনেই সমীক্ষা হয়েছে, তার রিপোর্টও পেশ করা হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ সেই সমীক্ষার পদ্ধতি-সহ যাবতীয় নথি দেখতে চায়। এখানে মামলাকারীদের মূল বক্তব্য ছিল, কোথায় কত জনসংখ্যা হয়েছে, তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য রাজ্যের কাছে নেই। এই জন্য প্রয়োজন সঠিক সমীক্ষার। নয়া কোনও জনগোষ্ঠীকে ওবিসির তালিকায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। সেটা করেনি রাজ্য সরকার। এর পরেই রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদনে জানান মামলাকারীরা।
আরও পড়ুন- সজাগ থাকুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, ফের সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ
২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১০ সালের পরে তৈরি রাজ্যের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছিল। ফলে বাতিল হয়ে যায় প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র। আদালত জানিয়ে দেয়, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। আদালতের রায় অনুযায়ী, ২০১০ সালের আগের ৬৬টি সম্প্রদায়ের ওবিসি শংসাপত্র বৈধ। ফলে তার পর থেকে তৈরি সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।
দেখুন আরও খবর-