ওয়েব ডেস্ক: ভুয়ো নার্সিং কলেজ (Nursing College) কেলেঙ্কারিতে তোলপাড় মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। এই কেলেঙ্কারি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (Madhya Pradesh High Court) মন্তব্য, “খুনিকে ক্ষমা করা যায়, কিন্তু এ তো পরিকল্পিত অপরাধ!” স্বাস্থ্যক্ষেত্রে এই কেলেঙ্কারি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। মন্তব্যসহ ৩ জুলাই থেকে প্রতিদিন শুনানি করার নির্দেশ বিচারপতি অতুল শ্রীধরন ও বিচারপতি টি কে পালিওয়ালের। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ১৬৯টি নার্সিং কলেজ সম্পর্কে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর হওয়া জনস্বার্থ মামলা (PIL) সূত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ।
শুনানিতে পেশ হওয়া ছবি ও অন্যান্য নথি দেখে বিস্মিত আদালত। কোনও একটি ছবিতে একটি বাড়িতেই সাইনবোর্ডে লেখা— ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএড এবং নার্সিং কলেজ। অর্থাৎ একই বাড়িতে বিভিন্ন সময়ে তিন রকমের শিক্ষা দান করা হয়। আবার খাতায় কলমে অস্তিত্ব থাকলেও আদতে কোনও পরিকাঠামো ছাড়াই নার্সিং কলেজ চলছে বলেও নথিতে উল্লেখ।
আরও পড়ুন: ঝাড়খন্ডী মহাদেব মন্দির সরোবরের উপর ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টে
যারা এসব করছে, তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। আমরা খুনিদের ক্ষমা করতে পারি। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলি আবেগের বশে ঘটে থাকে। কিন্তু এগুলি সুপরিকল্পিত অপরাধ। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় রীতিমতো গলদ না থাকলে এমন কেলেঙ্কারি সম্ভব নয়। যা আদতে রাজ্যের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য কাঠামোর ক্ষেত্রে রীতিমতো আতঙ্কজনক। এমন অভিমত সহ ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল এবং মধ্যপ্রদেশ নার্সিং কাউন্সিলের তীব্র সমালোচনা আদালতের।
৪৮ দিন শুনানি হওয়া সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় নথি এখনও জমা না পড়ায় আদালত জানিয়েছে, এটা প্রকৃতপক্ষে বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ। মামলাকারীর দাবি, জাল নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। তদন্তকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, সিবিআই এই কেলেঙ্কারির তদন্ত হাতে নেওয়ার আগে রাজ্যে প্রায় ৬০০-র উপর নার্সিং কলেজ থাকলেও বর্তমানে সংখ্যাটি ২০০-র কাছাকাছি নেমে এসেছে। এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির উপর প্রশাসনিক নজরদারির অভাব এর ফলে প্রকট হয়েছে বলে অভিযোগ মামলাকারীর।
দেখুন অন্য খবর: