ওয়েব ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বলরামপুরে ঐতিহাসিক ঝাড়খণ্ডী মহাদেব মন্দির (Jharkhandi Mahadev Mandir) সংলগ্ন প্রাচীর সরোবরের উপর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Board) দাবিকে ঘিরে আইনি বিতর্ক। ওই সরোবরকে ‘কারবালা’ (Karbala) বলে দাবি বোর্ডের। ওই এলাকায় কখনওই অন্য কোনও ধর্মের অস্তিত্ব ছিল না।
বহুকাল ধরে ওই সরোবর সনাতন ধর্মীয়দের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০১৮-১৯ সালে বলরামপুর নগরপালিকা পরিষদ ওই সরোবরের উন্নতিসাধন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির স্বার্থে ২৯.৯২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। ওই প্রকল্প শেষ হলে পরিষদ সরোবরটিকে ‘টেম্পল পন্ড’ (Temple Pond) বা ‘মন্দির সরোবর’ হিসেবে উল্লেখ করে। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিককালে মহরমের সময় ওই সরোবরে তাজিয়া ফেলে ব্যাপকভাবে দূষণ সৃষ্টি করা হয় বলে অভিযোগ। আর সেই সূত্রেই বিতর্কের সৃষ্টি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার আবহে, পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বাড়াতে চলেছে ভারত
যদিও স্থানীয় পুরসভা বিতর্কের সমাধানে তাজিয়া বিসর্জনের জন্য আলাদা একটি জায়গা ঠিক করে দেয়। এই ঘটনা পরম্পরার পরেও ওই সরোবরকে ‘কারবালা’ (Karbala) হিসেবে দাবি করে সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডের মামলা। সেই মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad Highcourt) লখনৌ বেঞ্চে খারিজ হয়। সরকারি নথি তথা রাজস্ব সংক্রান্ত রেকর্ডের কোনও জায়গায় ওই সরোবর কারবালা হিসেবে উল্লেখিত নয় বলে জানিয়েছে আদালত।
দেখুন অন্য খবর