ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে (Israel-Iran War) সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে আমেরিকা (USA)। রবিবার ভোরেই ইরানের তিনটি পরমাণু ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকার সেনা। তারপর থেকে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে উদ্বেগ। ইজরায়েলের তরফে দরাজ প্রশংসা উঠে এলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশ ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে ভালো চোখে দেখছে না। বিশেষ করে ইরানের উপর হামলা চালানোর পর থেকে আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্কে আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ইতিমধ্যে জি-৭ বৈঠকে ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কে চিড় ধরতে দেখেছে বিশ্ববাসী। একাধিক বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মতবিরোধও স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে। এখন শোনা যাচ্ছে, ইরানের উপর মার্কিনি হামলার পর আমেরিকা-ফ্রান্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে। এমনকি মনে করা হচ্ছে, আগামী সময়ে ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যপারে আলোচনায় বসতে পারে ফ্রান্সের কর্তারা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধে নামলেন ট্রাম্প! ইরানের ৩ পরমাণু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল মার্কিন সেনা
দু’দিন আগেই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ এক বৈঠকে ইরানের সঙ্গে এক টেবিলে বসেছিল ইউরোপের তিন সুপারপাওয়ার- ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি। শুক্রবার জেনেভায় এই তিন দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে মিসৌরির ওসাইটম্যান ঘাঁটি থেকে মার্কিন বি-২ বোমারু বিমানগুলি প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশপথে রওনা দেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই বিমানগুলি ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণ চালায়। হামলার পর ট্রাম্প ও ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনে দীর্ঘ আলোচনা হয় বলেও খবর মিলেছে।
দেখুন আরও খবর: