কলকাতা: কলকাতা বই মেলায় (Kolkata Book fair) স্টল বসানোর নিয়ে এপিডিআরের (APDR) আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নেই। জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আদালতের পর্যবেক্ষণ কলকাতা বইমেলা পাবলিশার্স ও বুকসেলার্সদের জন্য। গিল্ডের ৪৮ তম বইমেলায় বিজ্ঞাপনের ভিত্তিতে দলের জন্য আবেদন জানায় এপিডিআর। তাদের কাছে পাবলিশার্স এন্ড বুক সেলারর্সের রেজিস্ট্রেশনের সার্টিফিকেট চায় গিল্ড কর্তৃপক্ষ। সেই সার্টিফিকেট দিতে পারেনি এপিডিআর। তাই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। এপিডিআরকে বইমেলায় স্টল বসানোর অনুমতি দিল না হাইকোর্ট।
বইমেলায় স্টল দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে গিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এপিডিআর। আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে জানিয়েছে, আমি মানবাধিকার সংগঠন। আমি অনুমতি চাই বুক স্টল দেওয়ার। অর্গানাইজাররা আমাদের সেই অনুমোদন দেয়নি। সাধারণ মানুষের টাকায় তাঁদের সম্পত্তিতে হচ্ছে। গিল্ড স্টলের অবস্থান,বুকস ,ডেকোরেশন দেখতে চায়। সুপ্রিম কোর্টের কিছু অর্ডার দেখাতে চাই।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন গিল্ডদের বিরুদ্ধে কোনও অর্ডার আছে কি? আবেদনকারীর আইনজীবী জানান, বইমেলা প্রতি বছর হয়। গভার্নিং ডিপার্টমেন্ট এর আন্ডারে হয়। মিলন মেলায় হয়। হাওড়া, কলকাতা, বিধাননগর পুলিশকে মোতায়েন রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ‘কোনও ভুল নেই ‘, সমলিঙ্গ বিয়ের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
বিচারপতি গিল্ডকে আগে আপনারা কি এঁদের অনুমতি দিয়েছিলেন?গিল্ডের আইনজীবী জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এপিডিআর লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এবং ক্যাটালগ জমা দিতে পারেনি। এঁদের রেজিস্ট্রেশন নেই। অনুমতিক জন্য ট্রেড লাইসেন্স, ক্যাটালগ, রেজিস্ট্রেশন চাই। অ্যান্টি ইন্ডিয়ান হলে তো সেই দায় কাউকে নিতে হবে। এটা পাবলিশার্সদের জন্য। এনারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে।
বিচারপতি ৩০ অক্টবর আবেদনের এর লাস্ট ডেট ছিল। আজ লটারি। এখানে কিছু নিয়মর কথা বলা হয়েছে। আপনাদের সংগঠনে কি লাইসেন্স আছে? সংগঠকদের অধিকার রয়েছে সমস্ত অংশগ্রহনকারীদের যাচাই করার। এপিডিআর আদালতে তারা জানায়, তাদের কোনও লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নেই। এর পরেই তাদের আবেদন খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট।
অন্য খবর দেখুন