নদিয়া: কৃষ্ণনগরের শক্তিনগরের ভগৎ সিংহ রোডে অবস্থিত বড় উঠোনে ঘেরা বাড়িটির নাম হল ‘বঙ্গবীথি’। তারপর রয়েছে দুর্গামণ্ডপ। গত সাত বছর ধরে এখানেই চৌধুরীদের যৌথ পরিবারের দুর্গাপুজো। যদিও মাঝে এক বছর বন্ধ ছিল। তবে এবার মা দুর্গার আরাধনার সঙ্গেই এখানে মিশে গিয়েছে প্রতিবাদের স্বর। ফুটে উঠছে বিচারের দাবি।
চৌধুরী পরিবারের অন্যতম একজন সদস্য হলেন পারিজাত চৌধুরী। তিনি অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মী। আসলে তাঁর উদ্যোগেই এই বাড়িতে শুরু হয় পুজো। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতেই মূল ধুমধাম হয়। তাই পারিজাত চেয়েছিলেন বাড়িতে দুর্গাপুজো আরম্ভ করে পাড়ার সবাইকে পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রাখতে। বাড়ির পুজো হলেও তাই পাড়ার সকলেই সেখানে অংশ নেন।
আরও পড়ুনঃ থাকে না কোন অস্ত্র, সিংহ ছাড়াই দেবীপূজিত হন অভয়া রূপে
তবে এবার সেখানে মাতৃ আরাধনার সঙ্গে মিশে প্রতিবাদের সুর। সেখানে দুটি মঞ্চ। একটি দুর্গার মঞ্চ আর অন্য মঞ্চটি আরজি করের নির্যাতনের স্মরণে। এই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে বিচারের দাবিতে। এই প্রসঙ্গে পারিজাত বলেন, ‘আমার বাড়িতেও মেয়ে রয়েছে। তাই বাবা হিসাবে বিচার চাওয়াটা আমার কর্তব্য।’’ এবারের পুজোতে এই প্রতিবাদের পৃথক মঞ্চ থাকুক সেটাই চেয়েছিলেন এই পরিবারের সদস্যরা। তাই এক দিকে চলছে দুর্গার আরাধনা, আর অন্যদিকে প্রতিবাদ।
এখানে মাতৃ আরাধনায় প্রদীপ জ্বলছে দুর্গামূর্তির সামনে। আর প্রতিবাদের প্রদীপ প্রজ্বলিত হচ্ছে আরজি করের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তির মঞ্চে। পারিজাত জানিয়েছেন, প্রতিটি তিথিতে পুজো শুরু হচ্ছে নির্যাতিতার স্মরণে। এই তৈরি হওয়া মঞ্চের সামনে খানিক ক্ষণ নীরবতা পালন করে। শামিল হচ্ছেন চৌধুরী পরিবারের সকল সদস্যরা। থাকছেন পাড়া প্রতিবেশীরাও।
আরও খবর দেখুনঃ