হুগলি: চাকরি করার অপরাধে স্ত্রীর চার আঙুল কাটেন। দাঁত ভাঙেন। চুঁচুড়ার কোর্ট (Chinsurah Court) যাবজ্জীবন সাজা দিল স্বামীকে। ২০২২ সালে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় স্বামী প্রদীপ। কামদেবপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছে কাটারি দিয়ে স্ত্রীকে কোপাতে শুরু করেন তিনি। দুহাতের চারটে আঙুল বাদ যায়। মুখের উপর পাটির সব কয়টি দাঁত হারায়। শনিবার চুঁচুড়া আদালত স্বামী প্রদীপ মেটেকে সাজা দেওয়ার পর চোখ ফেটে জল এল পূর্ণিমার।
অভিযোগ, স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন প্রদীপ। সেই সন্দেহের বশেই স্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট মামলায় সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্ত প্রদীপ মেটের বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসার সুবীর গোস্বামী ২০২২ সালের ২২ নভেম্বর চার্জশিট জমা দেন। শুক্রবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন চুঁচুড়া জেলা আদালতের তৃতীয় দায়রা বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য। শনিবার যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনান তিনি।
আরও পড়ুন: বিজেপির জেলা পরিষদের সদস্যকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
আরও খবর দেখুন: