ওয়েব ডেস্ক: স্বপ্ন যদি থাকে, তবে দরকার অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর আত্মবিশ্বাসের। ১৬ বছরের লাবণ্য দাস মানিকপুরীর মনে সে ইচ্ছের জোয়ার কোনও অংশে কম ছিল না। নাচই তার প্রাণ। কোনও প্রশিক্ষণ না থাকলেও, নিজের চেষ্টা আর ভালবাসাতেই তৈরি করেছে নিজস্ব পথ। আর সেই পথেই একদিন নজরে পড়ে গেল বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাসের (Priyanka Chopra Jonas)।
সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কা নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বেলি ডান্সের ভিডিয়ো শেয়ার করেন। তাতেই দেখা যায় লাবণ্যের মন মাতানো নাচ। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিয়ো, প্রশংসার জোয়ারে ভেসে যায় লাবণ্য। নেটাগরিকদের প্রশ্ন, কে এই অসামান্য প্রতিভা?
জানা যায়, লাবণ্য ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের বাসিন্দা। ছোট থেকেই প্রতিকূলতা তার জীবনের সঙ্গী। ২০১৯ সালে বাবাকে হারানোর পর মায়ের কাছেই বড় হয়ে উঠেছে সে। বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার মা স্থানীয় এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা এবং একসময় তার দাদুও শিক্ষক ছিলেন। এলাকায় সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
শুধু শিক্ষকতা নয়, লাবণ্যের মায়ের আরেক পরিচয়, তিনি কত্থক নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলায় মাকে নাচ করতে দেখেই জন্ম নেয় লাবণ্যের নাচের প্রতি আগ্রহ। কখনও কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দরজায় কড়া না নাড়লেও, মায়ের কাছেই হাতেখড়ি হয় তার। তারপর নিজেই ইউটিউব দেখে, চর্চা করে, অনুশীলনে কাটায় ফাঁকা সময়।
পড়াশোনার পাশাপাশি নাচের প্রতি এই নিষ্ঠাই আজ তাকে পৌঁছে দিল আন্তর্জাতিক মঞ্চে। প্রিয়ঙ্কার মতো অভিনেত্রীর নজরে পড়ে গেল তার প্রতিভা। প্রশংসা শুধু নয়, এই স্বীকৃতি লাবণ্যের স্বপ্নকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন সকলে।
লাবণ্যের গল্প কেবল একটি কিশোরীর সাফল্যের নয়, এটি হাজারো প্রতিভাধর, নিরলস পরিশ্রমী তরুণের অনুপ্রেরণার গল্প — যারা প্রতিকূলতাকেই নিজের পথ বানিয়ে এগিয়ে যেতে জানে।
View this post on Instagram
দেখুন আরও খবর: