ওয়েব ডেস্ক: ভারত মহাসাগরের গার্সিয়া দ্বীপে ভয়ঙ্কর বোমারু বিমান মোতায়েন করে ইতিমধ্যে ইরানকে (Iran) রক্তচক্ষু দেখিয়েছে আমেরিকা (USA)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে (Israel-Iran War) আমেরিকার হস্তক্ষেপের মনোভাবে দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। এর মাঝেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ এক বৈঠকে ইরানের সঙ্গে এক টেবিলে বসতে চলেছে ইউরোপের তিন সুপারপাওয়ার- ব্রিটেন (Britain), ফ্রান্স (France) এবং জার্মানি (Germany)। শুক্রবার জেনেভায় এই তিন দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের বৈঠক করবেন সঙ্গে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির।
আজ নিয়ে অষ্টম দিনে পড়ল মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাত। ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে শঙ্কিত আন্তর্জাতিক মহল। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তিনি আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে হোয়াইট হাউস সূত্রে। এই প্রেক্ষাপটে, তেহরানের উপর চাপ বাড়াতে কূটনৈতিক স্তরে সক্রিয় হয়েছে ইউরোপের প্রভাবশালী তিন দেশ— ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি।
আরও পড়ুন: ইরানে ভয়ঙ্কর ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে আমেরিকা! শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি?
বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠকে মূলত ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়েই চাপ বাড়ানো হবে। ইজরায়েলের দাবি, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে, যা গোটা মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বশান্তির পক্ষে বিপজ্জনক। যদিও ইরান এই অভিযোগ বার বার অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই জার্মানি ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়ে তেহরান-বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। সেই পথেই হাঁটছে ব্রিটেন ও ফ্রান্সও। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে আমেরিকার বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো এবং প্রেসিডেন্টের পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক দূত স্টিভ উইচককের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিটেনের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ইরানের হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত নয়, এই বিষয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের অবস্থান অভিন্ন।
দেখুন আরও খবর: