ওয়েব ডেস্ক: ইরানের প্রত্যাঘাতে (Israel-Iran War) জ্বলছে তেল আভিভ। সংঘর্ষ বিরতির কোনও লক্ষণই নেই। উল্টে বেড়েই চলেছে মিসাইল হামলা। সংঘর্ষের অষ্টম দিনে ‘ক্লাস্টার বম্ব’ (Cluster Missile) ব্যবহার করেছে ইরান। চলতি সংঘাতে প্রথম এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করল তেহরান। নেতানিয়াহুর দম্ভের উপর গিয়ে আছড়ে পড়েছে একের পর এক ইরানি মিসাইল। বিগত ৪৮ ঘন্টায় মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে ইরানি সেনা। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ক্লাস্টার মিসাইলের ওয়ারহেডটি প্রায় ৪ মাইল উচ্চতায় বিভক্ত হয়ে মধ্য ইজরায়েলের প্রায় ৫ মাইল ব্যাসার্ধে প্রায় ২০টি জায়গায় ক্ষতি করেছে।
ক্লাস্টার বোমা মিসাইলের (Iran Launches Cluster Missile) ক্ষতিকারক দিক হল, এর ছোট মিউনিশনগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় পড়ে প্রথমে না ফাটলেও বেশ কিছুটা সময়ের পরেও ফেটে জায়গাটি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।ইজরায়েল এয়ার ফোর্সের ৬০টি ফাইটার জেট ইরানের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এর মধ্যে ইরানের Organization of Defensive Innovation and Research-এর উপর জোরালো আঘাত করা হয়েছে বলে খবর। ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার এর আগেও বিভিন্ন যুদ্ধে দেখা গিয়েছে। অনেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়েও এই অস্ত্রকে ভয়ানক বলে মনে করেন।
আরও পড়ুন: ইরানে ভয়ঙ্কর ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে আমেরিকা! শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি?
ক্লাস্টার বোমার মধ্যে থাকে একগুচ্ছ ছোট ছোট বোমা। ছোট হলেও তা কিন্তু শক্তিশালী। এর মাধ্যমে কোনও একটি জায়গায় নয়, একসঙ্গে একাধিক জায়গায় একাধিক হামলা চালানো যায়। একটি বড় ক্ষেপণাস্ত্রের মোড়কে ওই ছোট বোমাগুলি ভরা থাকে। উৎক্ষেপণের পর শূন্যেই খুলে যায় ক্লাস্টার বোমার অস্ত্র-মুখ। ভিতর থেকে ছোট ছোট বোমাগুলি বেরিয়ে আসে এবং বিস্তীর্ণ অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের ১৯ জুনের হামলার পর ইজরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, মাটি থেকে সাত কিলোমিটার উচ্চতায় ওই অস্ত্রের মুখ খুলেছিল। তা থেকে বেরিয়ে এসেছিল অন্তত ২০টি বোমা। সেগুলি মধ্য ইজরায়েলের বিভিন্ন প্রান্তে আট কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
“ইরান ‘গুঁড়িয়ে দিয়েছে’ তেল আবিবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা অফিস। ইরান, সম্প্রতি ইজরায়েলের বিয়ারশেবা অঞ্চলে চালানো হামলার পর, তেল আবিবে অবস্থিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা দফতরে সরাসরি হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আঘাতে ইজরায়েলি সামরিক গোয়েন্দা ব্যবস্থার বড়সড় ক্ষতি হয়েছে। হামলাটি ছিল পরিকল্পিত এবং প্রতিক্রিয়াশীল, যা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই ধরনের আক্রমণ ইরান-ইজরায়েল দ্বন্দ্বকে সরাসরি সামরিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং ভবিষ্যতে আরও পাল্টা হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
দেখুন ভিডিও