কাঁথি: শাসক-বিরোধী দুই দলের প্রার্থীর মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে দিনভর উত্তপ্ত রইল তমলুক ও কাঁথি।বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচাৰ্য, কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী (BJP Candidates Soumendu Adhikari Submit Nomination) এবং তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক। মনোনয়ন জমা করাকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই উত্তপ্ত ছিল পরিবেশ। কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা, খাতায় কলমে তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী (Sirir Adhikari)। এদিন দলীয় কর্মী-সমর্খকদের নিয়ে তমলুকের নিমতৌড়িতে জেলাশাসকের অফিসে যান সৌমেন্দু। মিছিল করে ডিএম অফিসের সামনে যেতেই তাঁকে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে ঢুকতে পেলেও এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন সৌমেন্দু। পরে শিশির বলেন, আমার তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা মস্ত বড় ভুল ছিল।
আরও পড়ুন: দলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ কুণাল
কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে সৌমেন্দুর মিছিল ডিএম অফিসের সামনে পৌঁছয়। তৃণমূলের প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে এগিয়ে আসেন শাসকদলের কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের উদ্দেশে ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে শুরু করেন। পাল্টা স্লোগান দেন তৃণমূল কর্মীরাও। জেলাশাসকের অফিসের গেটে পুলিশ শিশির অধিকারীকে ঢুকতে বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বচসা শুরু হয়। পরে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে জেলাশাসকের কার্যালয়ে ঢোকার অনুমতি পান শিশির। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় অফিস চত্বরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন। শিশিরকে বাধা দেওয়াকে পুলিশের দ্বিচারিতা ও অত্যন্ত নোংরা রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু।
পরে শিশির অধিকারী বলেন, এ বারের ভোটের ফলাফল ইতিমধ্যেই লেখা হয়ে গিয়েছে। এখনও অনেক খেলা বাকি আছে, খেলব। রাজ্যের ৪২ আসনে নন্দীগ্রামের মতোই ফল হবে বলেও দাবি করেন শিশির। এবার বিপুল ভোটে হারবে তৃণমূল।
দেখুন ভিডিও