দুর্গাপুর: দীর্ঘদিন ধরেই যৌনপল্লিতে নাবালিকা পাচারের অভিযোগ আসছিল। তার ভিত্তিতে ফের খবর নেওয়া শুরু করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত হতেই কুলটি থানার অন্তর্গত লছিপুরের দিশা যৌন পল্লীতে আচমকা অভিযান চালায় দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। আটক করা হল ৪৬ জন মহিলা ও ১৭ জন পুরুষকে।
আরও পড়ুন- মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১
বুধবার রাতে রাজ্য শিশু ও মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল উপস্থিত হয় কুলটির লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লীতে। চালানো হয় অভিযান। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক বিভু গোয়েল, আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনার অজয় ঠাকুর সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ও বিশাল পুলিশবাহিনী।
আচমকা এই অভিযানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ওই এলাকায়। ঘরে ঘরে ঢুকে তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ। অল্প সময় পরে তাজ্জব হয়ে যান পুলিশের কর্তারা। কারণ ওই নিষিদ্ধপল্লিতে রয়েছে প্রচুর সংখ্যক নাবালিকা। নাবালিকাদের পাশাপাশি অন্যঅ্যান মহিলাদের উদ্ধার করেন তাঁরা। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “গোপন সূত্রে তাঁরা খবর পান যে এখানে পাঁচ ছয়জন নাবালিকাকে দেহব্যাবসায় নামানো হয়েছে । সেই অনুযায়ী ছক কষে এখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।”
আরও পড়ুন-ইএম বাইপাস থেকে গ্রেফতার ন্যাশানাল ক্রাইম বিউরোর ভুয়ো ডিরেক্টর
প্রাথমিকভাবে ওই বিপুল সংখ্যক নাবালিকা উদ্ধার হবে তা ভাবতে পারেনি পুলিশ। ওই যৌনপল্লি থেকে মোট ৪৬ জন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে এরা কোথাকার বাসিন্দা তা এখনো জানা যায়নি। সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে একই সাথে ১৭ জন যুবককেও আটক করা হয় । এদের বয়স তদন্ত করে দেখা হবে যদি নাবালিকা হয় তাহলে সকলকে হোমে পাঠানো হবে।
জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানান, মহিলা কমিশনের সহযোগিতায় এই অভিযান চালানো হয়। যাদের আটক করেছে তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে এবং সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আদেও কোভিড প্রটোকল মেনে এই ব্যবসা চলছিল কিনা তাও পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে