নন্দীগ্রাম: বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন লেগেই রয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ- সর্বত্রই এক চিত্র। এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন দেখা দিল।
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১
বুধবার বিকেলে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকাপুরা বাজার এলাকার বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক স্বরূপ দাস, বুথ সভাপতি-সহ প্রায় শতাধিক বিজেপি কর্মী যোগদান করলেন তৃণমূলে। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মন্ত্রী অখিল গিরি। উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সহ অঞ্চল নেতৃত্বরা।
অখিল গিরি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন একজনকে। সেচ দফতরকে তিনি ডুবিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। উনি সেচ দফতরের কোনও কাজ করেননি, শুধু দুর্নীতি করেছেন। সে কারণেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় খাল, বিল ও নিকাশিনালার বেহাল অবস্থা। ফলস্বরূপ বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামের পর গ্রামে।’
আরও পড়ুন: ভাঙন অব্যাহত! ফের কেতুগ্রামে পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে ১৫০০
বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই অব্যাহত রয়েছে তৃণমূলে যোগদান। কখনও বিজেপি ছেড়ে, আবার কখনও সিপিএম-কংগ্রেস থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। বুধবার জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের চাঁপাডাঙ্গা অঞ্চলে মোট ৭১টি পরিবারের ২৮৫ জন সদস্য পদ্ম শিবির ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিল।
মেহেবুব আলম বলেন, ‘ক্রান্তি ব্লকে যে ভাবে সবাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস যোগদান করছেন তাতে আগামী দিনে বিজেপির ঝান্ডা ধরার লোক থাকবে না।’ উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি পঞ্চানন রায়, জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি করুণাময় চক্রবতী, ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক আফিজুদ্দিন আহমেদ,অঞ্চল সভাপতি হুসেন আলি, জেলা পরিষদ সদস্য কৃষ্ণা রায়।