কলকাতা: পেগাসাস (Pegasus) আড়িপাতা কাণ্ডে রাজ্য তদন্ত কমিশনের কাজ শুরু করল। সুপ্রিমকোর্টের (Supreme Court) প্রাক্তন বিচারপতি এমভি লকুর এবং কলকাতা হাইকোর্টের (HighCourt) প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: BREAKING: পেগাসাস আড়িপাতা কাণ্ডে তদন্ত কমিশন গঠন করল রাজ্য
কীভাবে ফোন হ্যাকিং হয়েছে, কার কার ফোন হ্যাক করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ বৃহস্পতিবার কমিশনের তরফে একটি নোটিস ইস্যু করা হয়েছে। তাতে আর্জি জানানো হয়েছে, পেগাসাস স্পাইওয়্যার সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য ৩০ দিনের মধ্যে মেইল করে জানানো যেতে পারে। কমিশন নির্ধারিত ঠিকানায় ক্যুরিয়ার, রেজিস্টার্ড পোস্ট বা স্পিড পোস্টের মাধ্যমেও তথ্য জানানো যেতে পারে।
পেগাসাস নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিশ্বের ১৭টি সংবাদ সংস্থা তদন্ত চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার ফোন নম্বরের তথ্যভাণ্ডার প্রকাশ্যে এনেছে। এই নম্বর গুলিতে ইজরায়েলি সংস্থা এনএসও-র তৈরি সফটওয়্যারের মাধ্যমে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফোনে কী কথাবার্তা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে কী আদান-প্রদান হয়েছে, ফোনে কী তথ্য, নথি, ছবি রয়েছে সেটাও দেখা হয়েছে। অথচ যাঁর মোবাইল হ্যাক করা হয়েছে, তিনি জানতেই পারেননি।
দেশীয় সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ওয়ারে’র রিপোর্টে প্রকাশ, এই পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে ভারতের সরকার ও বিরোধী পক্ষের নেতা, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিক, শিল্পপতি, সমাজকর্মী, বিচারপতিদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটা সরকারই করেছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
কিন্তু, পেগাসাস স্পাইওয়্যার সরকার কিনেছিল কি না তা স্পষ্ট করছে না। অথচ, পেগাসাস স্পাইওয়্যার নির্মাণ সংস্থা এনএসও-র বক্তব্য, শুধুমাত্র সন্ত্রাসী এবং শিশু যৌন নির্যাতনকারী, মাদক ব্যবসায়ী বা মানব পাচারকারীদের মত গুরুতর অপরাধীদের নজরদারি করার শর্তেই নির্বাচিত সরকারকে এই সফটওয়্যার বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভ: পেগাসাস ডেঞ্জারাস