মেদিনীপুর: মাত্র ৬২৩ ভোটে বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কের কাছে হেরেছিলেন তিনি। ৯৮ সাল থেকে বামফ্রন্ট থেকে এসে মোহনপুর এলাকায় বিজেপির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কার হাত দিয়ে দলে যোগদান করেছিল মোহনপুরের বর্তমান নেতৃত্বরা। আজ তিনি ব্রাত্য দলে। আর তাই দলের উপর ক্ষোভ জানিয়ে জেলা সভাপতিকে চিঠি দিয়ে দল ছাড়লেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব শক্তিপদ নায়েক। শুক্রবার প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সুদাম পন্ডিতকে ফোন করে ও ওয়াটসঅ্যাপে করে নিজের পদত্যাগের কথা জানালেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব শক্তিপদ নায়েক।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি তাঁর ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। শক্তিপদর দাবি, দলে পুরনো কর্মীদের কোনও সম্মান নেই। তৃণমূলকে হারাতে যে সমস্ত কর্মীরা এতদিন দলের হয়ে কাজ করে এসেছিল তাঁদেরকে দলের একশ্রেণির চাটুকাররা ব্রাত্য করে দিয়েছেন। আর জেলা সভাপতিকে সে বিষয়ে অভিযোগ জানিও কোনও সুরাহা হয়নি। তিনি বলেন, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে দাতন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৬ হাজার ৭০০ ভোটের লিড এনে দিয়েছিলাম। আর সেখানে তাঁকেই ব্রাত্য করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এও বলেন, জেলা জুড়ে আগামী দিনে একে একে এভাবে পুরনো কর্মীরা দল ছাড়তে শুরু করবেন।
আরও পড়ুন: ভোট দিলেন ঝড়ে বিধ্বস্ত ময়নাগুড়ির মানুষেরা
এদিকে শক্তিপদর দল ছাড়া তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে দাবি করলেন জেলা বিজেপি সভাপতি সুদাম পণ্ডিত। তিনি বলেন, দল কোনও ব্যক্তির সিদ্ধান্তের উপর চলতে পারে না। তাঁর যদি দল পছন্দ না হয় তিনি দল ছাড়তেই পারেন। এটা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এতে দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। অপরদিকে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি তপন প্রধান কটাক্ষ করে বলেন, আগামী দিনে কোনও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এই বিজেপি দলটিতে থাকবে না। একে একে পশ্চিমবঙ্গে শূন্যতে পরিণত হবে।