নয়াদিল্লি: জঙ্গিদের হামলা এবং নাশকতা কাশ্মীরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে। করোনার কারণে এক বছর শান্ত থাকলেও ফের যেন চেনা ছন্দে ফিরেছে কাশ্মীর। নিত্যদিন লেগেই রয়েছে জঙ্গি-জওয়ান গুলির লড়াই। এই অবস্থায় গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের খতিয়ান প্রকাশ করল সরকার।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ফের উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ, সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা
বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলা এবং এনকাউন্টার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে জম্মু-কাশ্মীরের হিংসার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেছেন। যেখানে গত তিন বছরে জম্মু-কাশ্মীরে ঘটে যাওয়া নানাবিধ হিংসার পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন- বন্যায় মৃতদের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন যে গত তিন বছরে ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং পুলিশের পক্ষ থেকে ৪০০ এনকাউন্টার করা হয়েছে। ওই সকল এনকাউন্টারের কারণে ৬৩০ জন জঙ্গিকে খতম করতে সক্ষম হয়েছে বাহিনী। যা জংগি দমনে ভারতের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ৮৫ জন সদস্য জঙ্গি হানার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী মহাশয়।
আরও পড়ুন- দিল্লির সেই নির্যাতিতার বাড়িতে তৃণমূলের মহিলা প্রতিনিধিদল
এই সকল জঙ্গিদের মদত দেওয়া এবং সমর্থন জোগানোর যাবতীয় কাজ সীমান্তের ওপার থেকে আসছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সাম্প্রতিক অতীতে কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি এনকাউন্টার ঘটেছে। সেই সকল গুলির লড়াইতে বহু জঙ্গির প্রাণ গিয়েছে। তালিকায় অনেক প্রতীক্ষিত জঙ্গি এবং বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষস্তরের নেতারাও ছিল।
এই পরিসংখ্যন ২০১৮ সালের মে মাস থেকে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এমন দিনে এই পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে সেদিন কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের দুই বছর। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসের পাঁচ তারিখে জম্মু-কাশ্মীরের উপর থেকে সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার মোদি সরকারের সেই সিদ্ধান্তের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি।
আরও পড়ুন- মেয়েরা বেশ্যা, এটাই বাংলাদেশের সংজ্ঞা: তসলিমা
বিশেষ মর্যাদা হারিয়ে অনেকটাই থিতিয়ে যায় কাশ্মীরের জঙ্গি বা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারপরে করোনার উপদ্রব শুরু হলে লকডাউন জারি হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ভাইরাস থেকে বাঁচার তাগিদ তো ছিলই। গত কয়েক মাস ধরে অবশ্য বেড়ে গিয়েছে জংগিদের গতিবিধি। যার পালটা জবাবও দিচ্ছে ভারতীয় সেনা।