ইসলামাবাদ: চরম অর্থ সংকটে রয়েছে পাকিস্তান। যার জেরে অনেক আগেই জনকল্যাণমূলক যাবতীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার আর্থিক সুরাহা পেতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাক প্রশাসন। বিয়ে-সহ ওই প্রকারের অনুষ্ঠানের জন্য এখন ভাড়া পাওয়া যাবে খোদ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন।
আরও পড়ুন- বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন রয়েছেন ইমরান খান। যিনি প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ সরকারি বাসভবনে থাকেন না। ওই বাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সরকারিভাবে তা ঘোষণাও হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ব্যবহার করে আর্থিক সুরাহার পথ খুঁজছে জিন্নার দেশ।
আরও পড়ুন- বাংলার বন্যা ‘ম্যান মেড’, দাবি মমতার
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বিয়েবাড়ি বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে পাক প্রশাসন। তবে ওই গুরুত্বপূর্ণ ভবনের গরিমা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে দু’টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা সমগ্র বিষয়টি পরিচালনা করবে। কোনও অবস্থাতেই যাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গরিমা নষ্ট না হয়, তা দেখবে ওই কমিটিগুলি।
আরও পড়ুন- তৃণমূল সাংসদদের সাসপেন্ডের প্রতিবাদে লোকসভা অধিবেশন বয়কটের পথে বিরোধীরা
২০১৯ সালে ওই বাড়িতে থাকা ছেড়ে দেন ইমরান খান। সেই সময়ে ওই দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওয়াসিম ইফতিখার চিমার মেয়ের বিয়ের জন্য ওই ভবন ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। তখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার দাবি থেকে সরেনি পাক প্রশাসন। তবে সেই ভাবনা এখন অতীত ওই বাসভবন থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিকল্পনা করেছে পাকিস্তান। বিত্তশালীদের কাছে ওই ভবন ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ ভাড়া আদায় করতে চাইছে প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী হয়েই জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয়ভার বন্ধ করে দিয়েছিলেন ইমরান খান। সেই সঙ্গে অনেক প্রকল্পের খরচের ক্ষেত্রেও রাশ টেনেছিলেন। ইমরানের জমানায় গত তিন বছরে পাকিস্তানের অর্থনীতিড় ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।