ওয়েবডেস্ক- ক্লাউড সিডিং (Cloud Seeding) করে কী লাভ হয়েছে? শুধুই টাকার শ্রাদ্ধ! বিরোধীদের তোপের মুখে পড়ল রেখা গুপ্তার সরকার (Rekha Gupta Government) । দিল্লির (Delhi) শীতের (Winter) আবহাওয়ায় ক্লাউড সিডিং অনুকূল নয়। তবে কোনও যুক্তিতে, কার অনুমতিতে করদাতাদের ৩৪ কোটি টাকা এইভাবে কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই খরচ করা হল?
দীপাবলির (Diwali) পর থেকেই পাল্টাতে থাকে আবহাওয়ার পরিস্থিতি। বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। দূষণের মাত্রা কমাতে ক্লাউড সিডিং- এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে।
২০২৪ সালের শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রক জানায়, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে দিল্লিতে যে আবহাওয়া থাকে, তা কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য অনুকূল নয়। কারণ ক্লাউড সিডিং করাতে যে পরিমাণ আর্দ্রতা- ঘনত্ব প্রয়োজন হয়, এই পশ্চিমী ঝঞ্জায় তৈরি হওয়া মেঘে সেই ক্ষমতা থাকে না। মেঘ থাকলেও সেটি হয় অনেক উঁচুতে বা অনেক শুষ্ক। জলকণা তৈরি হলেও মাটিতে আসার আগে তা শুকিয়ে যায়। এই কারণে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ক্লাউড সিডিংয়ের জন্য উপযুক্ত নয়।
আরও পড়ুন- ভয়ানক খারাপ পরিস্থিতিতে দিল্লি, দূষণের মাত্রা ৪০০ ছুঁইছুঁই
কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ক্লাউড সিডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে কেন্দ্র থেকে অনুমতি মেলেনি। বিশেষজ্ঞরাও রাজি হননি। সেই সময় আম আদমি পার্টির বিরোধিতায় নামে বিরোধীরা। এখন প্রশ্ন আপ আমলে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা, সেই কাজই ক্ষমতায় এসে বিজেপি সরকার কী করে করছে? তাহলে পরিবেশ না বিরোধিতা করাই বিজেপির প্রধান কাজ? এবার দিল্লি সরকারে দিকে আঙুল তুলেছে আপ পার্টি। তাদের অভিযোগ, এর মধ্যে দুর্নীতি আছে।
প্রসঙ্গত, একমাত্র করোনাকালে সব থেকে নিরাপদ ছিল দিল্লির আবহাওয়া। কলকারখানা বন্ধ ছিল, মানুষও ছিল ঘরবন্দি। রাস্তায় গাড়ি না বের হওয়ায় বিষমুক্ত ছিল দিল্লি। কিন্তু এখন আবার একই অবস্থায় রাজধানী। শীত আসতেই প্রথা মেনে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে খেতে আগুন লাগানো শুরু করেন অন্নদাতারা। ফলে শুরু হয় পরিবেশ দূষণ।
দেখুন আরও খবর-