ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য রাজনীতির ময়দানে এবার প্রবল চাপের মুখে বঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)। একের পর এক সাংগঠনিক জটিলতা, এসআইআর ও সিএএ নিয়ে বিভ্রান্তির উপর নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের দোটানায় কার্যত নাজেহাল গেরুয়া শিবির। সূত্র বলছে, এইসব বিষয় নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। কাজেই চার মাসের মধ্যে রাজ্য বিজেপি আদৌ নির্বাচনের (Assembly Election 2026) জন্য প্রস্তুত হতে পারবে কী না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট বুথের প্রায় ৬৫ শতাংশে বুথ কমিটি গঠিত হয়েছে, সমান সংখ্যক বুথে বিএলএ-ও চিহ্নিত করা হয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য অন্তত ১৫৩টি আসন জয় করা। যদিও ২১০ থেকে ২২০টি আসনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, বাকি প্রায় ৭৪টি আসনে নামমাত্র প্রার্থী দেবে দল। এই ৭৪টি আসনের অধিকাংশই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে বিজেপির সংগঠন কার্যত দুর্বল। ফলে বাস্তবিক অর্থে এই আসনগুলিই রাজ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্য নির্ধারণ করতে পারে।
আরও পড়ুন: BJP-র রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন কারা? জানুন বিরাট আপডেট
অন্যদিকে, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিশেষ সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকেই ভোটের ঘোষণা হতে পারে, এবং এবারের ভোট হতে পারে দুই বা তিন দফায়। ফলে হাতে সময় মাত্র চার মাস। কিন্তু এই অল্প সময়ে সাংগঠনিক পুনর্গঠন, বুথ পর্যায়ে প্রস্তুতি — সব মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপির পরিস্থিতি খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়।
প্রবীণ বিজেপি নেতাদের একাংশের মতে, ৭৪-৮০টি আসন কার্যত তৃণমূলের হাতে ছেড়ে দিয়ে বিজেপি কীভাবে ক্ষমতার কথা ভাবছে, তা বোঝা কঠিন। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ভোট পিছিয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। দলের ভেতরের খবর অনুযায়ী, নভেম্বরে রাজ্য বিজেপির নতুন পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এরপর মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে গোটা গ্রাম বাংলায় বুথ স্তরে পৌঁছে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়া কার্যত দুঃসাধ্য কাজ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাজ্য রাজনীতির অন্দরে তাই এখন প্রশ্ন উঠছে যে, এই বিভ্রান্তি ও সাংগঠনিক দুর্বলতার মধ্যে দিয়ে বিজেপি কতটা কার্যকরভাবে নিজেদের ঘুঁটি সাজাতে পারবে? নাকি ভোটের আগেই অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনেই আরও দুর্বল হয়ে পড়বে গেরুয়া শিবির?
দেখুন আরও খবর: