ওয়েব ডেস্ক: নাবালকের প্রতি যৌন হেনস্থার (Sexual Harassment Of Minor) অভিযোগে অভিযুক্ত এক মহিলার মামলাকে ঘিরে বড় প্রশ্ন উঠল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। পকসো (POCSO) আইন কি লিঙ্গ নিরপেক্ষ? কর্নাটকের এক মামলার প্রেক্ষিতে এবার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
ঘটনার সূত্রপাত কর্নাটকে। এক নাবালকের প্রতি যৌন হেনস্থার অভিযোগে অর্চনা পাতিল নামে এক মহিলার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন বা পকসো অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়। নিম্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অর্চনা পাতিল কর্নাটক হাইকোর্টের (Karnataka High Court) দ্বারস্থ হন।
সেই মামলায় চলতি বছরের ১৮ অগাস্ট কর্নাটক হাইকোর্ট জানায়, পকসো আইন লিঙ্গ নিরপেক্ষ। অর্থাৎ এই আইনের আওতায় একজন মহিলার বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা যেতে পারে। আদালত স্পষ্ট করে, আইনটির ধারা ৪ ও ৬ অনুযায়ী অপরাধী পুরুষ বা মহিলা, যে কেউ হতে পারেন। সেই আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ফের হিজাব বিতর্ক, স্কুলে বৈষম্যের অভিযোগে বিদ্যালয় ছাড়ার সিদ্ধান্ত ছাত্রীর
এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন অর্চনা পাতিল। তাঁর আইনজীবী হাশমাথ পাশা যুক্তি দেন, “পকসো আইনের ধারাগুলি লিঙ্গ-নির্দিষ্ট। এই আইনে শুধুমাত্র পুরুষ অভিযুক্তের কথাই বলা হয়েছে, তাই আবেদনকারীর ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ সম্ভব নয়।”
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এম. এম. সুন্দরেশ এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা-র বেঞ্চ জানায়, মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে নোটিশ জারি করতে হবে। সেই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দেয়, আপাতত নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
এই নির্দেশের পর নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠেছে—যদি কোনও পুরুষ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে পকসো আইন প্রযোজ্য হয়। কিন্তু কোনও মহিলা যদি কোনও নাবালককে যৌন হেনস্থা করে, তাহলে কেন একই আইন প্রযোজ্য হবে না? এবার এই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজবে সুপ্রিম কোর্ট।
দেখুন আরও খবর: