কলকাতা: গভীর রাতে আবাসনে বাজির তাণ্ডব (Fire Crackers)। প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় বরানগর থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। পরে আবাসনের উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বনহুগলি লেকপাড়ের এক আবাসনে।কালীপুজো পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত বাজির তাণ্ডব চলতে থাকে।
আবাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর পুজোর আগেই আবাসিকদের এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়, রাত ১০টার পর আর বাজি ফাটানো যাবে না। শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উৎসব কমিটি। কিন্তু অভিযোগ, রাত ১২টার পরও বাজির আওয়াজ থামেনি। একদল যুবক নিয়ম ভেঙে রাত দেড়টা পর্যন্ত শব্দবাজি ফাটাতে থাকে। সেই বাজির কিছু অংশ গিয়ে পড়ে আবাসনের ডাস্টবিন লাগোয়া আবর্জনায়, মুহূর্তে আগুন ধরে যায় আশপাশে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এমন অবস্থায় আবাসনের উৎসব কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুফল ঘোষ গিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং অনুরোধ করেন বাজি বন্ধ করতে। অভিযোগ, তখনই কয়েকজন যুবক তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে। তখন এগিয়ে আসেন তাঁর প্রতিবেশী, বৃদ্ধা বেবি সাহা। কিন্তু তাঁকেও রেহাই দেয়নি যুবকরা। তাঁকেও ধাক্কাধাক্কি ও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় দু’জনকেই।
আরও পড়ুন: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’, ভাইফোঁটায় নতুন গানে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
অন্যদিকে, কালীপুজোর (Kali Puja) মধ্যরাতের বাজির তাণ্ডবে (Fire Crackers) ভবানীপুর (Bhawanipore)। অসুস্থ এক বৃদ্ধা প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন। অভিযুক্ত এলাকারই পাঁচ যুবক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ (Bhawanipore PS)। ঘটনা ৪বি, আশুতোষ মুখার্জি রোডের। সেখানকার বাসিন্দা অনুপমা চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, কালীপুজোর দিন রাত দেড়টা নাগাদ এলাকার কিছু যুবক লাগাতার বাজি ফাটাচ্ছিল। তাঁর কথায়, “হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘর ভর্তি ধোঁয়া, শ্বাস নিতে পারছিলাম না। নীচে নেমে অনুরোধ করতেই ওরা উল্টে আমাকে ধরে মারধর করে।” বৃদ্ধার দাবি, সেই সময় তাঁর ভাইও আক্রান্ত হন।
অন্য খবর দেখুন