ওয়েবডেস্ক- প্রবল বৃষ্টি (Heavy Rain), বন্যা (Flood) ভূমিধসে (Land Slide) ব্যাপক ক্ষতির মুখে উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। একদিকে যেমন ঘর-বাড়ি, রাস্তা, সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অপরদিকে ক্ষতির মুখে পঠনপাঠন। কারণ এই বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে স্কুলগুলি (School)। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং বেল্টের বন্যা দুর্গত ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলিকে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার (State Government) । দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে মোট ১৭৩টি স্কুল মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছে। কোথাও শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে আবার কোথাও সিঁড়ি ও সীমানা প্রাচীরগুলি ধসে পড়েছে। ছাদ ও শৌচালয় ভেঙে পড়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিকল্প ক্লাসরুম-মডিউল প্রক্রিয়া সক্রিয় করার চিন্তা ভাবনা নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থা পর্যালোচনায় মনিটরিং সেল গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সবার আগে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা। সেই কথা বিবেচনা করেই সমস্ত পরিকল্পনা এগোচ্ছে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন স্থানীয়দের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- গ্রেফতার অবৈধ বাজি বিক্রেতা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর রাজ্য পুলিশ
উত্তরবঙ্গ বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ঘটনার পর পরই উত্তরবঙ্গে ছুটে যান তিনি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের কাজ করছে রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলিকে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সংস্কারের নির্দেশ দিতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে শিক্ষাদফতর। পুজোর ছুটির মধ্যেই মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনকে তৎপর হতে বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি হওয়া প্রাথমিক, হাই স্কুল ও কলেজ গুলিকে দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ক্ষয়ক্ষতির হিসেব সংগ্রহ করছে শিক্ষা দফতর (Education Department)।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলির মধ্যে ৯৪টি প্রাথমিক স্কুল, বাকি ৭৯টি হাইস্কুল। সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে দার্জিলিং জেলায়। পাহাড়ি এলাকায় ৩০টিরও বেশি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত। এর মধ্যে রয়েছে ২০টি হাইস্কুল ও ১২টি প্রাথমিক স্কুল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং শহর, টুংসুং, পানিঘাটা রংভি, সুখিয়াপোখরি, ঘুম, লামাহাটা, দুধিয়া, প্রভৃতি।
অভিভাবকদের আবেদন, পুজোর ছুটির সময়টাকে কাজে লাগিয়ে স্কুল মেরামতির কাজ সম্পন্ন করা হোক। না হলে স্কুল খুললে, সন্তানদের স্কুলে পাঠানো নিয়ে চিন্তায় থাকবে অভিভাবকেরা। উত্তরবঙ্গের শিক্ষা পরিকাঠামো পুনর্গঠনে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে।
দেখুন আরও খবর-