কলকাতা: “তুমি কাশি যেতে পারো যেতে পারো গয়া/ কোথাও খুঁজে পাবে না এমন অপয়া…।” পাতালঘর ছবির বিখ্যাত গানের লাইন এগুলি। অপরের ক্ষতি করার জন্য গ্রামের অপয়া ব্যক্তিকে বরাত দেওয়া হতো। বরাত দেওয়া ব্যক্তিও ওই অপয়া বৃদ্ধের মুখ দেখতেন না। নিজের ক্ষমতা জাহির করার জন্য অপয়া বলতেন, “শুধু চোখে চোখ পড়লেই ভাই/ গ্যারান্টি দিয়া বাড়া ভতে ছাই।”
আরও পড়ুন- রেলের ঠিকাদারকে তোলা চেয়ে হুমকি, অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল বাংলা ছবি পাতালঘর। সেই সিনেমার গানের লাইন ব্যবহার করে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপয়া বলে দাবি করলেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা। সিনেমার অপয়া ব্যক্তির মতোই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রেষ্ঠ অপয়া বলে দাবি করলেন তিনি। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন- পাড়ার ক্লাব উদয়ন সঙ্ঘে বড় করে পুজো চাইছেন না পার্থ
ঘটনার সূত্রপাত, টোকিও অলিম্পিকে ভারতের হকি দলের পারফরম্যান্স নিয়ে। গ্রেট ব্রিটেনকে হারিয়ে ৪১ বছর পর হকির সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। তবে সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে আটকে গেলেন মনদীপরা। গোলকিপার শ্রীজেশকে তুলে নিয়ে আউটফিল্ড প্লেয়ার নামিয়ে গোল করার মরিয়া চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। ৫-২ গোলে হারল ব্লু-আর্মি। সোনা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলেও এখনই শেষ হয়নি পদক জয়ের আশা। মনপ্রীত-শ্রীজেশরা ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে নামবেন।
আরও পড়ুন- সম্পর্কের টানাপোড়েন, বিবাহিত মহিলাকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টা প্রেমিকের
ম্যাচ চলাকালীন মঙ্গলবার ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সকাল ৭টা ৩৫-এ করা ট্যুইটে তিনি লেখেন, আমি ভারত বনাম বেলজিয়াম সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখছি। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতীয় হকি দলের পারফরমেন্সে আমি গর্বিত। দলের সদস্যদের আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারতীয় দলের স্কিলের প্রশংসা করেন তিনি।
আরও পড়ুন- করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাটেনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আতসকাচে ৪৪ জেলা
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মোদি যখন খেলা দেখা শুরু করেন সেই সময়ে এগিয়ে ছিল ভারত। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকলেও পরে হারতে হয় ভারতীয় দলকে। যা নিয়ে মোদিকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “তুমি কাশি যেতে পারো যেতে পারো গয়া/ কোথাও খুঁজে পাবে না এমন অপয়া।। (এই টুইট করার আগে ভারত হকি তে ২-১ গোলে এগিয়েছিলো)”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য নতুন নয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে একই কায়দায় মোদিকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। ২০১৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদি। আর ভারতীয় ক্রিকেট দল শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতেছিল ২০১৩ সালে। মোদি জমানায় ভারত ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি বলে দাবি করে থাকেন তৃণমূলের কর্মীরা।
২০১৯ সালে চন্দ্রাভিযানের সময়ে ইসরো দফতরে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায় সেই অভিযান। অনেকাংশে ওই অভিযান সফল হলেও ১০০ শতাংশ সফল হয়নি ভারতের মহাকাশ গবেষক সংস্থার ওই অভিযান। সেই অনেকে মোদিকে কটাক্ষ করেছিলেন।