ওয়েব ডেস্ক : কালীপুজোর (Kali Puja 2025) রাতে শব্দবাজি ফাটানোর উপর বেশ কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ও হাইকোর্ট (High Court)। বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ও। তবে সন্ধ্যার দিকে তেমন কোনও সমস্যা দেখা যায়নি। কিন্তু, রাত বাড়তেই শব্দবাজির দাপট অনেকটাই বাড়তে থাকে। আর বারুদের ধোঁয়ায় খারাপ হতে থাকে বাতাসের মানও।
অতীতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় দেদার শব্দবাজি (Firecrackers) ফাটানো হতো। কিন্তু তার উপর পরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এমনকি জানানো হয়েছিল, পরিবেশ বান্ধব বাজি পোড়াতে হবে। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে পুলিশ। মূলত এবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তা নিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফেও একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি শব্দবাজির উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু রাত বাড়তেই শব্দবাজির দাপট দেখল গোটা কলকাতা (Kolkata)।
আরও খবর : ধনতেরসের পর দীপাবলিতেও কমল সোনার দাম, স্বস্তিতে ক্রেতারা
অভিযোগ, রাত সাড়ে ১০টা ১১টার পর শব্দবাজির দাপট বাড়তে থাকে। তার পাশাপাশি বারুদের গন্ধে ভরে গিয়েছিল চারপাশ। দূষণ (Pollution) নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কন্ট্রোল রুমে গতকাল সাড়ে ন’টা পর্যন্ত জমা পড়েছিল ১৭টি অভিযোগ। যার মধ্যে প্রায় সবকটি ছিল বাজি সংক্রান্ত অভিযোগ। অন্যদিকে বাজির কারণে কলকাতার আকাশও ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল।
মূলত, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) শূন্য থেকে ৫০ থাকলে তাকে ভালো বলা হয়। সেটা ৫১ থেকে ১০০-র মধ্যে থাকলে সন্তোষজনক বলা হয়ে থাকে। ১০১ থেকে ২০০ হলে তাকে মাঝারি বলা হয়। কিন্তু এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স শূন্য ২০১ থেকে ৩০০ হলে সেটিকে খারাপ বলা হয়ে থাকে। আর কালীপুজোর রাতে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ২০০-এর উপরে। এর কারণে ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে এতো নির্দেসিকা সত্বেও শব্দবাজি ফাটানো ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ আটকানো গেল না বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেখুন অন্য খবর :