ওয়েবডেস্ক: দুর্গাপুরে (Durgapur) বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের (Private Medical College) ছাত্রীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে পাঁচ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাজ্য পুলিশ জানিয়েছিল, কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন নির্যাতনের ঘটনায় তার গভীর মর্মাহত। পুলিশের তরফে আশ্বস্থ করা হয়, অপরাধীরা কোনও মতেই রেহাই পাবে না। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল। দ্রুত গতিতে তদন্ত চলছে।
এদিন প্রথমে গ্রেফতার করা হয় দুর্গাপুর পুরনিগমের অস্থায়ী কর্মী সম্রাট ওরফে নাসিরউদ্দিনকে । অভিযুক্ত দুর্গাপুর থানার বিজড়া এলাকার বাসিন্দা। এর আগে এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তখনই আটক করা হয়েছিল নাসিরকে। রবিবার একটানা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় নগর নিগমের এই অস্থায়ী কর্মীকে। সোমবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় অপর অভিযুক্ত শেখ শফিকুলের খোঁজেও তল্লাশি চলছিল ৷ পরে তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত শুক্রবার, ১০ অক্টোবর দুর্গাপুরের পরাণগঞ্জে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। নির্যাতিতা ওড়িশার বাসিন্দা। রাত ৮ নাগাদ তিনি তার বন্ধুর সঙ্গে খাবার কিনতে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে পাঁচজন। সেই সময় তার সঙ্গে থাকা বন্ধুটি তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। নির্যাতিতারকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে পরাণগঞ্জের জঙ্গলের দিকে টেনে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতিতার বন্ধুটির গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাকেও আটক করে রেখেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- দুর্গাপুর কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তীব্র কটাক্ষ বিরোধী দলনেতার, কি বললেন?
তদন্তে নেমে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সাহায্য অভিযুক্তদের সন্ধান পায় পুলিশ ৷ গ্রেফতার হয় অপু বাউরি, শেখ ফিরদৌস এবং শেখ রিয়াজউদ্দিন ৷ রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। এবার এই গণধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হল ৷
দেখুন আরও খবর-