জয়ন্ত মজুমদার, বরানগর: বরানগর পুরসভার (Baranagar) ২১ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্গত শম্ভুনাথ দাস লেনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী (Gold Merchant) খুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট মুরলিধর শর্মা (Barrackpore Police Commissionerate Muralidhar Sharma) । এদিন তিনি জানান, তিনটে নাগাদ এখানে কিছু দুষ্কৃতীরা আসে। ক্রেতা সেজে দুষ্কৃতীরা প্রথমে কথাবার্তা শুরু করে শঙ্কর জানার (Shankar Jana) সঙ্গে। আর তারপর উনি যখন দোকানের জিনিস দেখাতে আরম্ভ করেন, তখন আচমকা আরও দুজন দুষ্কৃতী বাইরে থেকে দোকানের ভেতর প্রবেশ করে। তারপর তারা ঘুসিও লাথি মারতে শুরু করে এবং শঙ্কর জানাকে কাপড় দিয়ে বেঁধে দেয়। বেপরোয়া মারতে থাকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। আর সেই সময় আরেকজন বাইরে থেকে নজরদারি চালাচ্ছিল।
গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের টিম এবং পুলিশ কমিশনারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বরানগরে সোনার দোকানের মধ্যেই খুন হন দাসপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী। নাম শঙ্কর জানা, বাড়ি দাসপুরের বেলিয়াঘাটা বৌদ্যপুর এলাকায়। বন্ধ দোকান খুলতেই উদ্ধার হয় হাত-পা বাঁধা মালিকের দেহ। বরানগর থানা থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে খুনের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন- বন্যা পরিস্থিতি, রাতভর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভুটান সহ ডুয়ার্স
ঘটনায় কারা জড়িত? বরানগরে ভর দুপুরে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে শোকে ভেঙে পড়েছে তার পরিবার। শঙ্কর জানা দাসপুর থানার বেলিয়াঘাটা বৈদ্যপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ইতিমধ্যে পরিবারের এক সদস্য রওনা দিয়েছে কলকাতায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।
জানা গিয়েছে,সোনার দোকানে এদিন একাই ছিলেন ৬৩ বছর বয়সি শঙ্করবাবু। ছেলে দিল্লিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তবে বেড়াতে গেলেও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজের অ্যাক্সেস রয়েছে তাঁর কাছে। দুপুরের দিকে হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন দোকানের সিসিটিভি সম্পূর্ণ ব্ল্যাক হয়ে গিয়েছে। কিছু একটা বিপত্তি হয়েছে বুঝতে পেরেই তিনি বাবাকে ফোন করেন। কিন্ত বাবাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এর পরই পাড়া প্রতিবেশীদের ফোন করে তিনি জানতে পারেন খুনের ঘটনা।
তদন্তকারীদের ধারণা, তাঁকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী শঙ্কর জানাকে। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দেখুন আরও খবর-