ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুজো (Durga Puja) মানে যেমন ঝাঁ চকচকে আধুনিকত্ব এবং সাবেকিয়ানার এক অদ্ভুত রংমিলান্তি। বাংলার আনাচে-কানাচে এখনও অনেক দুর্গাপুজো হয়- কেউ বয়ে শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসকে, কেউ আবার থিমের অভিনবত্বে জনপ্রিয়। তবে বসিরহাটের ঘোষবাড়ির পুজো (Basirhat Ghosh Barir Durga Puja) এই দুই তালিকাতেই পড়ে। কারণ বিশ্বের চারটি প্রাচীন সভ্যতার (Ancient Civilization) ইতিহাসকে জীবন্ত করে এবার সাজানো হয়েছে শতাব্দী প্রাচীন সময়ের ঐতিহ্য বহনকারী এই পুজো মণ্ডপকে।
মিশরীয় সভ্যতা থেকে শুরু করে হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো এবং প্রাচীন ভাস্কর্যের নানা প্রতিচ্ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই মণ্ডপ ও তার ভেতরের প্রতিমার কাঠামোটিকে। কিন্তু দুর্গাপুজোর মণ্ডপে এভাবে ইতিহাসকে তুলে ধরা হল? পুজো উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিশ্বের সব প্রাচীন সভ্যতাগুলির ইতিহাসকে মানুষের সামনে জীবন্ত করে তুলতেই এবছর এই বিশেষ আয়োজন।
আরও পড়ুন: বন্ধ হচ্ছে ত্রিধারা সম্মিলনীর ‘অঘোরী নৃত্য’! জানুন বড় আপডেট
পুজোর মণ্ডপে মিশরীয় সভ্যতার পিরামিড, মমি, ভাস্কর্য ও চিত্রকল্প যেমন রয়েছে, তেমনই হরপ্পা-মহেঞ্জোদারোর নিদর্শনও শিল্পকৌশলে মন্ডপে প্রতিফলিত হয়েছে। কাঠ, প্লাই ও নানা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই সাজসজ্জা যেন দর্শনার্থীদের নিয়ে যাচ্ছে কয়েক হাজার বছর আগেকার সেই স্বর্ণযুগে। সকালে থেকেই ভিড় উপচে পড়ছে ঘোষবাড়ির মন্ডপে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এ প্রদর্শনী দেখে ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। দর্শনার্থীদের মতে, শিক্ষণীয় ও দর্শনীয় এই মন্ডপ নিঃসন্দেহে এবারের দুর্গোৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।
তবে শুধুমাত্র পুজোর দিনগুলিতেই নয়, সারা বছর ধরেই এই মন্ডপ খোলা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানালেন বসিরহাটের এই দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা। যাতে রাজ্যের বাইরের পর্যটকরাও এসে এই অনন্য প্রদর্শনী দেখতে পারেন, সেই জন্য আগামীতেও এই ঐতিহাসিক মণ্ডপকে সাজিয়ে রাখা হবে।
দেখুন আরও খবর: