ওয়েব ডেস্ক: ফাইনালে পৌঁছলেও এবারের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025) পাকিস্তানের (Pakistan Cricket Team) কাছে দুঃস্বপ্নের থেকে কম কিছু ছিল না। কারণ, এই টুর্নামেন্টে এক মাসের মধ্যেই ভারতের কাছে তিনবার হেরেছে পাক দল। প্রথমে গ্রুপ পর্যায়, তারপর সুপার ফোর এবং শেষে ফাইনালে দাপটের সঙ্গে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ভারত। আর হারের হ্যাটট্রিকের পরেই বড় শাস্তির মুখে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। পাক ক্রিকেট বোর্ডের (Pakistan Cricket Board) সিদ্ধান্তে এবার সলমন, শাহিনদের পকেটেও টান পড়তে চলেছে। কিন্তু কেন? চলুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড হঠাৎ করেই দেশের ক্রিকেটারদের সব বিদেশি টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে (T-20 Franchise League) খেলতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জানা গিয়েছে, ভিনদেশি লিগ খেলার আগে ক্রিকেটারদের যে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয় বোর্ডের তরফে, তা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে পিসিবি-র তরফে। এই সিদ্ধান্তে বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: সেনা-স্মরণে সূর্য! এই কাজ করে দেশবাসীর মন জিতলেন স্কাই
পাক ক্রিকেট বোর্ডের সিইও সুমাইর আহমদ সৈয়দ এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, “চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে, বিদেশি লিগ ও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের সব এনওসি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখা হল।” সূত্রের খবর, এনওসি প্রদানের ক্ষেত্রে পারফরম্যান্স-ভিত্তিক নীতি চালুর কথা ভাবছে বোর্ড। তবে এই মূল্যায়ন কবে থেকে কার্যকর হবে বা এক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হবে কী না—সে বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য সামনে আসেনি।
পাক ক্রিকেট বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেলেন বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন আফ্রিদি। তাঁরা ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের পরবর্তী মরসুমের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এছাড়া সাইম আয়ুব, ফখর জামান ও নাসিম শাহ সহ অন্তত ১৮ জন ক্রিকেটার সংযুক্ত আরব আমিরাশাহির আইএলটি-২০ লিগের নিলামে নাম তুলেছেন। শুধু তাই নয়, হ্যারিস রউফ, সালমান আঘা সহ আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার বিভিন্ন বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজির নজরে আছেন। কিন্তু নতুন নীতির কারণে আপাতত সব পরিকল্পনায় অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে।
দেখুন আরও খবর: