ওয়েবডেস্ক- এগিয়ে আসছে বিহার নির্বাচন (Bihar Assemble Election) । আগামী ৫ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন (Vote) হওয়ার কথা বলে জানা গিয়েছিল। আগামী ৬ অক্টোবরের পরেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা (Voting schedule announced) করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) , বিহারের মুখ্য সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ৬ অক্টোবরের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের সমস্ত বদলি, পোস্টিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- ৩১ জানুয়ারির আগেই শেষ করতে হবে নির্বাচন! নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সুষ্ঠু ও অবাদ ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কমিশনের এটি একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। জানা গেছে, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Chief Election Commissioner Gyanesh Kumar) বিহার সফর করবেন। এই সফরেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ করার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। ৬ অক্টোবরের পরেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে বলে জোর জল্পনা চলছে। তারিখ ঘোষণার পর, রাজ্য জুড়ে আদর্শ আচরণবিধি (MCC) তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, এদিকে বিহার ভোটের আগে কমিশন ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে চাপানউতোর অব্যাহত। ভোট চুরি নিয়ে কমিশনকে তীব্র আক্রমশ শানিয়েছেন রাহুল। সেইসঙ্গে সোমবার বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশের সময় সরব হন কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করে বলেন, ‘সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া বিচারপতির ইস্তেহারে’ প্রকাশের ঘোষণা করেছেন। যেখানে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলিকে শক্তিশালী করার এবং শিক্ষা, শাসন এবং উন্নয়নে শামিল করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। রাহুল বলেন, বিজেপির সদ্য প্রকাশিত ইস্তেহারে দূরদর্শিতার কোনও ছাপ নেই।
এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল বলেন, এই ইস্তেহার এক বিচ্ছিন্ন মানুষের কন্ঠস্বর ছাড়া আর কিছুই নেই।
সোমবার বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ঠান্ডা ঘরে বসে থেকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তার পরেই নাম না করে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে জবাব দেন রাহুল।
দেখুন আরও খবর-