ওয়েবডেস্ক- রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলায় (Raja Raghuvanshi murder case) ঘটনার পুনর্নির্মাণ (crime scene) করল মেঘালয় পুলিশ (Meghalaya Police) । গত ২৩ মে রাজার দেহ উদ্ধার হয় উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মেঘালয়। বিয়ের পর স্ত্রী সোনমকে নিয়ে হানিমুনে (Honey Moon Murder) গিয়েছিলেন রাজা। সেখানেই মর্মান্তিক পরিণতি নেমে আসে রাজার জীবনে।
এই হত্যামামলায় রাজার স্ত্রী সোনম (Sonam) ও তার প্রেমিক সহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ মেঘালয় পুলিশ মঙ্গলবার পূর্ব খাসি জয়ন্তীয়া পাহাড়ে রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডটি পুনর্নির্মাণ করে। ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় অভিযুক্ত স্ত্রী সোনম সহ সমস্ত অভিযুক্তদের চেরাপুঞ্জির সোহরায় নিয়ে আসে।
তদন্তের অংশ হিসেবে, পুলিশ প্রথমে অভিযুক্তকে পাহাড়ের পার্কিং এরিয়ায় নিয়ে আসে, যেখানে পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হয়েছিল বলেই অনুমান। এর পর সোনম এবং রাজকে ঠিক সেই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে রাজাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯ টার সময় সর্দার পুলিশ স্টেশন থেকে তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তরা মেঘালয় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত চলছে।
সোমবার ডিজিপি আই নোংরাং বলেছিলেন যে সিট বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে মামলাটি খতিয়ে দেখছে। এই মামলায় আরও কিছু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই, সোনমের স্বামীর প্রতি এত বিদ্বেষ তৈরি হওয়া অস্বাভাবিক। সম্ভাব্য সকল দিক খতিয়ে দেখছি। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিট আসাম পুলিশ এবং আরও কিছু রাজ্যের সহায়তা চেয়েছে, যেখানে অভিযুক্তরা অপরাধের আগে এবং পরে ছিলেন।
আরও পড়ুন- কফিনে শুয়ে ছেলে, পাইলট সুমিত সাভারওয়ালকে শেষ বিদায় বৃদ্ধ বাবার
গত ১১ মে ২৫ বছরের সোনমের ইন্দোরে ২৯ বছরের রাজার বিয়ে হয়। ২০ মে মধুচন্দ্রিমার জন্য অসমের গুয়াহাটি হয়ে মেঘালয়ে পৌঁছান। এর পর গত ২৩ মে সোহরা থেকে আচমকা গায়েব হয়ে যায় দুজনেই। পরে ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধার হয় ওয়েইসাওডং জলপ্রপাতের কাছে একটি গিরিখাতে রাজার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তখনও সোনম নিখোঁজ ছিল। মনে করা হয় সোনমকে বাংলাদেশে পাচার করা হয়েছে। সোনমের খোঁজে তল্লাশি জারি থাকে। ৯ জুন পুলিশ সোনম, সোনমের প্রেমিক রাজ কুশাওয়া, ও রাজা রঘুবংশী খুনে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ১১ মে সোনমের সঙ্গে বিয়ে কিছুক্ষণ আগে রাজাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
রাজা রঘুবংশীকে হত্যার ষড়যন্ত্রটি ইন্দোরে রচিত হয়েছিল, ১১ মে সোনমের সাথে তার বিয়ের কিছুক্ষণ আগে, এবং মূল পরিকল্পনাকারী হলেন রাজ কুশওয়াহা, যদিও মহিলাটি ষড়যন্ত্রে রাজি হয়েছিলেন। মূল চক্রী রাজ কুশওয়াহা। সম্মতি ছিল সোনমের। ২৯ বছর বয়সী ইন্দোর পরিবহন ব্যবসায়ীকে রাজা রঘুবংশীকে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং হত্যার অভিযোগে সোনম তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। রাজা একজন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। শিলংয়ের একটি আদালত সোনম, তার প্রেমিক রাজ এবং তিন খুনিকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
দেখুন আরও খবর-