ওয়েব ডেস্ক: স্মার্ট ইলেকট্রিসিটি মিটার (Smart Electricity Metre) কেবলমাত্র নতুন বাড়িতে লাগানো হবে। পুরনো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নয়। কর্নাটক হাইকোর্টকে (Karnataka High Court) জানালো বেসকম। ব্যাপক বিতর্কের পর পশ্চিমবঙ্গে স্মার্ট ইলেকট্রিসিটি মিটার লাগানো স্থগিত করেছে রাজ্য সরকার। এবার একই বিতর্কে মঙ্গলবার ব্যাঙ্গালোর ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডকে নোটিশ দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। কারণ কর্নাটক সরকার প্রতিটি বিদ্যুৎ গ্রাহকের জন্য স্মার্ট প্রিপেড মিটার লাগানো বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও সেই মতো টেন্ডার ইস্যু করেছে।
একগুচ্ছ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি ভি এম কামেশ্বর রাও এবং বিচারপতি সিএম জোশির ডিভিশন বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগের জবাব দিতে নির্দেশ। যদিও বেসকমের আইনজীবী আদালতকে জানান, শুধুমাত্র নতুন বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো হচ্ছে, পুরনো গ্রাহকদের ক্ষেত্রে নয়।
আরও পড়ুন: সামনে এল ১২ জুনের ভিডিও, বাঁচতে হস্টেলের বহুতল থেকে লাফ ডাক্তারি পড়ুয়াদের
সব বিদ্যুৎ গ্রাহককে পর্যায়ক্রমে স্মার্ট মিটার নিতে হবে, এমনটাই রাজ্যের সিদ্ধান্ত এবং সেই মতো টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই কঠিন বাজার পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে মিটারের দাম গ্রাহকদের থেকে আদায় করার প্রচেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য রাজ্যে এমন মিটারের জন্য ৯০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।
তাছাড়া এমন প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে রাতে বিদ্যুৎ খরচের জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে গ্রাহককে। মিটার হ্যাক হলে গ্রাহকের টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ এমনভাবে সরকারি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে যে, গ্রাহকদের জোর করে এমন মিটার নিতে বাধ্য করা হবে। এমনকি এই মিটারের জন্য ধারাবাহিক খরচও গ্রাহককে বহন করতে হবে। অভিযোগ এক মামলাকারীর।
দেখুন আরও খবর: