ওয়েব ডেস্ক: আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad plane crash) নিয়ে বড় মন্তব্য অমিত শাহের (Amit Shah)। শুক্রবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেখানে দাঁড়িয়েই প্রাথমিকভাবে তিনি ঘটনাকে ‘জাতীয় ট্র্যাজেডি’ বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “জ্বালানি পুড়ে যাওয়ার কারণে বিমানের তাপমাত্রা এত বেশি ছিল যে, কাউকে বাঁচানোর কোনও সম্ভাবনা ছিল না।”
মৃতদের পরিবারদের সমবেদনা জানানোর পর বলেন, “পুরো দেশ শোকাহত ৷ শোকাহত পরিবারের সঙ্গেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি ৷ দুর্ঘটনার 10 মিনিটের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার তথ্য পেয়েছে । আমি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি । প্রধানমন্ত্রীও ফোন করেছেন ৷ দুর্ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই অপ্রত্যাশিত এবং সবসময় প্রতিরোধ করা যায় না।”
আরও পড়ুন: আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে মোদি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিমান দুর্ঘটনার পর আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে কিছু বাঁচানোর সুযোগই ছিল না। তিনি বলেন, “আমি দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ৷ বিমানে প্রায় 1 লক্ষ 25 হাজার লিটার জ্বালানি ছিল ৷ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কাউকে বাঁচানোর কোনও সম্ভাবনাই ছিল না ৷ বিমানটি ভেঙে পড়ার পর আগুন এত তীব্রতায় ছড়িয়ে পড়ে যে কিছুই বাঁচানোর কোনও সুযোগ ছিল না। আগুন দ্রুত গ্রাস করে ফেলে পুরোটা ৷ যার ফলে প্রাথমিকভাবে উদ্ধারের কাজও অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছিল ৷”
তিনি আরও বলেন, “পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা ভারতে পৌঁছনোর পরে, তাদের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। প্রায় ১০০০ ডিএনএ নমুনা শুধুমাত্র গুজরাতে সংগ্রহ করা হবে। রাজ্যের এই সমস্ত পরীক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে। মৃতদেহের ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ ডিএনএ রিপোর্ট নিশ্চিত হওয়ার পর দেহগুলি সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে ৷”
দেখুন আরও খবর: