সুন্দরবন : ঘূর্ণিঝড় যশে বিধ্বস্ত হয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই বিধ্বস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে ফের একবার নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে সুন্দরবনের গ্রামগুলি। সেই সব গ্রামের মধ্যে একটি গ্রামের নাম ডাকাতমারা। সুন্দরবনের রায়দিঘি বিধানসভার ডাকাতমারা গ্রামের বাসিন্দা সাবিনা খাতুন। চলতি বছরের ঘূর্র্ণিঝড় যশের ফলে অনেকটাই বিধ্বস্ত হয় এই গ্রাম। দুর্যোগের মুখে পড়ে ভেঙে যায় গ্রামবাসীদের সাধারণ জীবনযাত্রা। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নতুন উদ্যমে নিজের জীবনগড়ার স্বপ্ন দেখছে সাবিনা।
আরও পড়ুন : যশের পর রাজ্যকে কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্র: মমতা
ডাক্তার হতে চায় সাবিনা খাতুন। যশ ঘূর্ণিঝড় তার ভিটেবাড়ির উপর আঘাত হানলেও তার পড়াশোনার প্রবল ইচ্ছাশক্তিকে দমাতে পারেনি। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৬৮ নম্বর পেয়ে পাস করেছে সে। তার বিষয় ভিত্তিক ফলাফল ছিল, বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৪, অঙ্কে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৮, জীবন বিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৯৪ এবং ভুগলে ৯৪ পেয়েছে। এবছর সে মথুরাপুত্র কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল থেকে পাস করেছে। ওই বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশুনা করে ডাক্তার হতে চায় সে। তার পিতা, রহিচউদ্দিন মোল্লা স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রে সামান্য বেতনের শিক্ষকতা করেন। মেয়ের ইচ্ছাকে পূরণ করা তাঁর পক্ষে প্রায় অসম্ভব। বাড়িতে তাঁদের বাবা-মা, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই অতিমারীর সময় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বাবা। তাই সাবিনার স্বপ্ন পূরণে এখন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার পরিবারের আর্থিক দুর্দশা। সাবিনার জীবনে অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে চায়। এমতাবস্থায় কেউ বা কোনও প্রতিষ্ঠান যদি তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেয়, তার জন্য নিজেই আবেদন জানিয়েছে সাবিনা।