ধূপগুড়ি: রেড ব্যাঙ্ক চা বাগান (Red Bank Tea Garden) দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর বন্ধ ছিল। কর্ম হারিয়েছিল হাজার অধিক চা শ্রমিক। রাজ্য সরকারের তৎপরতায় অবশেষে সেই চা বাগান খুলে গিয়েছে। হাসি ফুটেছে চা শ্রমিকদের মুখে। পেটের জ্বালা মিটেছে তাদের রাজ্য সরকারের তৎপরতায়। চোখে স্বপ্ন ছিল একটি ঘরের। অবশেষে রাজ্য সরকারের (West Bengal State Government) চা সুন্দরী প্রকল্পের (Cha Sundari Scheme) মাধ্যমে চা বাগানের ৫৬২টি পরিবার পেতে চলেছে পাকা ঘর। ২০ ফুট বাই ২০ ফুট দৈর্ঘ্য প্রস্থে তৈরি হচ্ছে শ্রমিকদের জন্য ঘর। যার মধ্যে রয়েছে ২টি বেডরুম, ১টি কিচেন রুম, ১টি হল রুম ও টয়লেট বাথরুম। রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানের ফ্যাক্টরির পাশেই গড়ে উঠছে চা শ্রমিকদের জন্য আবাস। জোর কদমে চলছে কাজ। আবাসের কাজ শেষ হলেই বাগানের শ্রমিকদের হাতে ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে প্রশাসনের তরফ থেকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benerjee) সম্প্রতি চা শ্রমিকদের আবাসন প্রকল্প (Housing Project) চা সুন্দরীর নিয়মে বদল আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে রাজ্য মন্ত্ৰীসভা। এর ফলে চা সুন্দরী প্রকল্পে এবার থেকে আর রাজ্য সরকার বাড়ি তৈরি করে দেবেনা। তার বদলে প্রাপকদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে। সে সঙ্গে তাঁদের ধাপে ধাপে বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে যেসব বাড়ি ইতিমধ্যেই তৈরির কাজ শুরু হয়ে গেছে তা শেষ করেই উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নজরে এবার হুগলি, আরামবাগ যাচ্ছেন মমতা
চা শ্রমিকদের অস্বাস্থ্যকর, ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকা থেকে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকার ‘চা সুন্দরী প্রকল্প’ চালু করেছে। যে প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের ১১টি চা বাগানে ২০০০টিরও বেশি আবাসিক ইউনিট তৈরি করবে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত এই প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ১৯৭.৪০ কোটি টাকা। সম্প্রতি বাড়িগুলি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মোট চা বাগানের ২ লক্ষ বাসিন্দা এই সুবিধা পাবেন। চলতি অর্থবর্ষেই অন্তত ২৫ হাজার মানুষকে পাট্টা সহ আর্থিক সহায়তা প্রদানের টার্গেট নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুকুটে আরও একটি পালক জুড়েছে। চা সুন্দরী আবাস প্রকল্পের জন্য স্কচ পুরস্কার (SKOCH Award) পেল রাজ্য আবাসন দপ্তর। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।
আরও খবর দেখুন