ওয়েব ডেস্ক: নগদ টাকা উদ্ধার কেলেঙ্কারিতে ইমপিচমেন্টের (Impeachment) মুখোমুখি হতে চলেছেন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা (Justice Yashwant Verma)। সংসদে (Parliament) তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী সংসদীয় অধিবেশনেই তাঁকে অপসারণের প্রস্তাব (Proposal) আসতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। কোনও বিচারপতিকে অপসারণ করতে এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুতর এবং বিরল। কারণ কোনও বিচারপতিকে অপসারণ করতে হলে প্রায় সর্বদলীয় সম্মতির প্রয়োজন দেখা দেয়।
সূত্রের খবর, সংসদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজেজু ইম্পিচমেন্ট প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে কথা শুরু করতে চলেছেন। অন্যদিকে আরও কিছু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ইতিমধ্যেই হয়েছে। আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে শাহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে বিজেপি সভাপতি এবং রাজ্যসভা সদস্য জেপি নাড্ডা শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরপরে দুজনে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে যান।
আরও পড়ুন: পহেলগাম কাণ্ডের পর প্রথমবার কাশ্মীরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রসঙ্গত দিল্লির তুঘলক ক্রিসেন্ট এলাকায় বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বসতবাড়ি সংলগ্ন স্টোররুমে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ঘটনায় অর্ধদগ্ধ নগদ অর্থ উদ্ধারের প্রেক্ষিতে বিতর্কের সূত্রপাত। বিচারপতি ভার্মাকে তার জেরে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তিন বিচারপতিকে নিয়ে আভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পরে কমিটির সেই রিপোর্ট রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, রাজ্যসভা বা লোকসভায় সরকারের আনা ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব সভার অধ্যক্ষ গ্রহণ করলে ৩ সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠিত হবে। যে কমিটিতে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের একজন ও হাইকোর্টের আরও একজন বিচারপতি ও অন্যজন হবেন আইনি বিশেষজ্ঞ। এই কমিটি পুরো বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখবে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া চলাকালীন অভিযুক্ত বিচারপতি যদি পদত্যাগ করেন তাহলে পুরো তদন্ত প্রক্রিয়া সেখানেই বন্ধ হবে। এবং সেই বিচারপতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী অবসরকালীন যাবতীয় সুবিধা পাবেন।
দেখুন অন্য খবর: