ওয়েব ডেস্ক: অশান্ত হয়ে উঠেছে এভারেস্টের এই ছোট দেশ। এই পরিস্থিতিতে সেখানে অবাধে চলছে লুটপাট। তেমনই ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনাও ঘটেছে। পাশাপাশি জেল থেকে কয়েদিদের পালানোর খবরও সামনে আসছে। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি নেপালে। বর্তমানে ভারতের পড়শি দেশের শাসনভার সেনার দখলে। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। যত দিন পর্যন্ত না নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে, তত দিন দেশের শাসনভার চালাবে তারা। শুধু তা-ই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশ জুড়ে কার্ফু জারি করা হয়েছে সেনার তরফে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নেপালে (Gen Z of Nepal ) আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। নেপালের সেনাবাহিনীর (Nepal Army) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরেই আটকে আছেন ৪০০-র বেশি ভারতীয়।
নেপালে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কাঠমান্ডু বিমানবন্দরেই আটকে আছেন ৪০০-র বেশি ভারতীয়। তাঁদের ফেরাতে নয়াদিল্লি থেকে বিশেষ বিমান পাঠানো হবে। মঙ্গলবার থেকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। অনেক বিমান বাতিল হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় নাগরিকদের কী ভাবে ফেরানো যায়, তা নিয়ে নেপাল সেনার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। সেখানে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে বায়ুসেনার বেষকয়েকটি বিমান পাঠাতে পারে ভারত। কাঠমান্ডুতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস নেপাল সেনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ভারতীয় সেনার বিমানের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হতে পারে কাঠমান্ডুতে। নিরাপদে যাতে সকলকে উদ্ধার করে আনা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: অশান্ত নেপালে সংশোধনাগার থেকে পালাতে গিয়ে মৃত ৫!
অশান্তির আবহে নেপাল নিয়ে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। প্রথমটিতে বলা হয়েছিল, ভারত পড়শি রাষ্ট্রের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলার এবং সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এর পর রাতে আর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিদেশ মন্ত্রক কিছু হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করে।
অন্য খবর দেখুন