ওয়েব ডেস্ক: নেপালের (Nepal Gen Z Protest) পর বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ফ্রান্স (France Protest)। দেশের একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদের আগুন। মঙ্গলবার থেকেই প্যারিস, রেনেস, টুলুজ, মার্সেইয়, লিওঁসহ বিভিন্ন শহরে শুরু হয়েছে ‘ব্লক এভরিথিং’ আন্দোলন (Block Everything Protest)। দেশের প্রধান সড়ক অবরোধ করে ব্যারিকেড ভেঙে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের গতিতে। পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে আন্দোলনকারীরা। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ২০০ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ফরাসি মন্ত্রী। কিন্তু কেন ফ্রান্সজুড়ে চলছে এই বিক্ষোভ?
আসলে ‘ব্লক এভরিথিং’ আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ। সরকারের অর্থনৈতিক নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নেতৃত্ব সংকট নিয়ে তাঁর দায়িত্বহীনতাকে আন্দোলনের জন্য দায়ী করছেন দেশের ক্ষুব্ধ জনগণ। বিগত এক বছরে চারবার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তনের ঘটনা জনমনে আরও অসন্তোষ তৈরি করেছে। গতকালই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঁসোয়া বায়রু আয়কর কাটছাঁটে একটি বাজেট প্রস্তাব পাশ করাতে ব্যর্থ হয়ে আস্থাভোটে পরাজিত হন এবং পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন: ডিজে থেকে নেপালের গণবিক্ষোভের নেতা! কে এই সুদান গুরুং?
এর পরপরই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেবাস্টিয়ান লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন। তাতে প্রশমিত হয়নি জনতার ক্ষোভ। ফ্রান্সের নাগরিকদের দাবি, প্রেসিডেন্টের অদক্ষতা ও নেতৃত্ব সংকটের কারণেই দেশ বারবার রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার হচ্ছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত জনগণ ঐক্যবদ্ধ নেতৃত্বের অভাব অনুভব করছে।
🚨#BREAKING: At this time, absolute chaos is erupting across France as thousands of protesters flood the streets, clashing with police and rioting in opposition to the government’s economic policies. pic.twitter.com/9PG9GDW0hy
— R A W S A L E R T S (@rawsalerts) September 10, 2025
যদিও ফ্রান্সের এই ‘ব্লক এভরিথিং’ আন্দোলন এখনও অবধি নেতৃত্বহীন। কিন্তু তাতেও আন্দোলনের তীব্রতা কমেনি, বরং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, যাতে পরিস্থিতি দিন দিন আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে।
দেখুন আরও খবর: