ওয়েব ডেস্ক: মাইক্রোসফটের পর এবার আইবিএম (IBM), আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence) কারণে চাকরি হারালেন বিপুল সংখ্যক কর্মী। বিশ্বজুড়ে এআই-এর (AI) প্রভাব যেভাবে বাড়ছে, তাতে নানা ক্ষেত্রে বদলের হাওয়া বইছে। তারই প্রতিফলন দেখা গেল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম-এর সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে। প্রায় ৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই (Employees Fired) করেছে সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, চাকরিহারাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের কর্মী।
সূত্রের খবর, এইচআর-এর প্রায় ২০০টি পদ ইতিমধ্যেই ‘এআই এজেন্ট’-এর মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। আধুনিক সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামের সাহায্যে এখন কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ, কর্মীদের জিজ্ঞাসার উত্তর, এমনকি অভ্যন্তরীণ নথিপত্র প্রক্রিয়াকরণের মতো কাজগুলো অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করছে এই এআই প্রযুক্তি।
আরও পড়ুন: জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বড় মন্তব্য কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের
আইবিএম-এর সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পুনরাবৃত্তিমূলক এবং প্রক্রিয়াভিত্তিক কাজগুলোতে এআই এবং অটোমেশন ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও তিনি এটাও জানিয়েছেন, সংস্থার সামগ্রিক কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ অটোমেশনের ফলে সাশ্রিত সম্পদ এখন সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং-এর মতো বিভাগে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে, কর্মহীনতার আশঙ্কা কতটা যুক্তিযুক্ত? এই প্রশ্নের জবাবে আইবিএম-এর প্রধান মানবসম্পদ আধিকারিক নিকেল ল্যামোরেক্স জানান, “সব চাকরি এআই খেয়ে নেবে—এই আশঙ্কা ঠিক নয়। মাত্র কিছু নির্দিষ্ট পদই প্রতিস্থাপিত হবে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদিও এআই কিছু চাকরির ওপর ঝুঁকি তৈরি করছে, তবে তার পাশাপাশি নতুন ধরনের চাকরির দরজাও খুলছে। এআই পরিচালনা, পর্যবেক্ষণ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে চাহিদা বাড়ছে দ্রুত গতিতে।
দেখুন আরও খবর: