ওয়েব ডেস্ক: ভারতে (India) গত ১৯ মে পর্যন্ত এবছরে ২৫৭ জন করোনা (Covid) আক্রান্ত হওয়ার সরকারি রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তবে গত সপ্তাহে আচমকাই তা বেড়ে গিয়েছে। সংখ্যাটি ছাড়িয়েছে ৭৫০। তাতেই উদ্বেগ বেড়েছে। তার মধ্যে দিল্লিতে ১০০, কেরলে ৪০০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট সামনে এসেছে। সামনে আসছে কোভিড ১৯ সাব ভ্যারিয়েন্ট। নাম এনবি.১.৮.১ এবং এলএফ.৭ (NB.1.8.1 and LF.7)। তামিলনাড়ু ও গুজরাতে ধরা পড়েছে। ইন্ডিয়ান সার্স কোভ ২ জেনোমিক কনসোর্টিয়াম থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এনবি.১.৮.১ তামিলনাড়ুতে পাওয়া গিয়েছে গত এপ্রিল মাসে। একজনের দেহে। মে মাসে গুজরাতে এলএফ.৭ পাওয়া গিয়েছে। চার জনের দেহে। এরপর উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে ৫৫ বছর বয়সী একজনের দেহে এই সাব ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে।
এইমস হৃষিকেশে তিন জন করোনা রোগী ভর্তি হন। একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এইমস হৃষিকেশের ডিরেক্টর ড. মীনু সিং বলেন, এই বর্তমান ভ্যারিয়েন্ট খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। কোমর্বিডিটি (Comorbidity) (অন্যান্য গুরুতর শারীরিক সমস্যায় অসুস্থ) রয়েছে তাদের জন্য সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়া এই সাব ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্ট অফ মনিটরিং-এর তালিকায় রেখেছে। তবে বলেনি ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন। নজরে রাখতে হবে তবে উদ্বেগের কিছু নেই। আগের স্ট্রেনের চেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বেশি প্রভাবিত করতে পারে। তবে মারাত্মক নয়। দিল্লিতে স্বাস্থ্য দফতরে সতর্কতা জারি হয়েছে। অক্সিজেন, বেড, ভ্যাকসিন প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুল গজানোর সার্জারি, মৃত্যু দুই ইঞ্জিনিয়ারের, গ্রেফতার দাঁতের ডাক্তার
সূত্রের দাবি, বাংলাতে ১২ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তার অনুপ হালদারের মতে, কম ভর্তি করতে হচ্ছে। সাধারণ উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এক ডাক্তার জানিয়েছেন, বর্তমান ভ্যারিয়েন্টের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। তবে পুরনো ডোজে এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।
দেখুন অন্য খবর: