ওয়েবডেস্ক-পুঞ্চে (Poonch) পাক সেনার গোলাবর্ষণে (Pakistani Army shelling) ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Congress Leader Rahul Gandhi)। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেইসঙ্গে তাদের দাবি দাওয়াগুলি জাতীয় স্তরে তুলে ধরারও প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল। শনিবারই পুঞ্চে এসেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
পরে এক্স হ্যান্ডলে রাহুল লেখেন, ‘ভাঙা ঘর, জিনিসপত্র চারিদিকে ছড়ানো আর ছলছলে চোখ। আর প্রিয়জনদের হারানোর বেদনা রয়েছে। এই দেশভক্ত পরিবারগুলিই প্রত্যেক বার যুদ্ধের সময় সাহসের বোঝা বয়ে বেড়ান। তাদের সাহসকে প্রণাম’।
রাহুল ক্রাইস্ট স্কুল, একটি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল, জামিয়া জিয়া-উল-আলুম, একটি ইসলামিক মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন। পুঞ্চের স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন। রাহুল তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, চিন্তা করোনা সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। রাহুল বলেন, পড়াশোনা করো, কঠোর পরিশ্রম করো, আর খুব বেশি করে খেলাধুলো করো, স্কুলে প্রচুর বন্ধু তৈরি করো। আমি তোমাদের জন্য খুব, খুব গর্বিত। তোমরা তোমাদের ছোট বন্ধুদের মিস করছ। আমি এর জন্য খুব দুঃখিত।
আরও পড়ুন- জাতিগত জনগণনাকে সমর্থন নীতীশের, NDA বৈঠক থেকে শুরু বিহার ভোটের প্রস্তুতি
রাহুলের সঙ্গে ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কারা এবং দলের অন্যান্য বর্ষীয়ান নেতা সহ ন্যাশনাল কনফারেন্সের মন্ত্রী জাভেদ রানা।
রাহুল গুরুদ্বার সিং সভা, গীতা ভবন এবং জিয়া উল আলমও পরিদর্শন করেন। এই তিনটিই গোলাগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
রাহুল ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করার জন্য শহর ঘুরে দেখেন। শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময়, পুঞ্চের পরিস্থিতিকে, এটি একটি বিশাল ট্র্যাজেডি বলে বর্ণনা করেন। রাহুল বলেন, অনেক মানুষ মারা গেছে এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাম হামলা পর ভারতের প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তান প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। পাকিস্তানের হামলায় সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুঞ্চ। এই শহরেই পাক গোলাবর্ষণের শিকার হয় ১২ বছর বয়সী যমজ ভাইবোন উরফা ফতিমা ও জয়ন আলি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে বিহান ভার্গব। পাক সেনার হানায় ১৫ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। আহত প্রায় ৪০।
দেখুন আরও খবর-