পূর্ব মেদিনীপুর: ময়নার বিজেপি নেতা খুনের মামলায় NIA র হাতে দু’বছর পর গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত মনোরঞ্জন হাজরা। NIA র ভূমিকায় খুশি বিজয়কৃষ্ণের পরিবার। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। ২০২৩ সালের ১ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বিজেপি (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হন। গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে বিজেপি নেতার দেহ উদ্ধার হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের তদন্ত করছে NIA।
জানা গিয়েছিল, তাঁকে বাকচার গোড়ামহল গ্রামে প্রথমে অপহরণ করা হয়। তারপর তাঁকে খুন (Murder) করা হয়। সেই গ্রাম থেকেই তারপর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ (Police)। ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি (BJP) । পরে ময়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিজয়কৃষ্ণর পরিবার। সেই মামলায় ৩৬ জনের নামে এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ৯ জনকে গ্রেফতারও করেছিল। তবে চার্জশিট (Chargesheet) পেশ করার সময় বেশ কয়েকজনের নাম বাদ দেওয়া হয়। ফলে তারা আদালতে জামিন পেয়ে যান। ঘটনায় পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী লক্ষ্মীরানি ভূঁইয়া আদালতের দ্বারস্থ হন। পরে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। গত এপ্রিল মাসে এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ঘটনায় এবার নয়া তথ্য রানাঘাট পুরসভার
এনআইএ তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর এফআইআর-এ নাম থাকা বহু তৃণমূল কর্মী গ্রেফতার হয়। কিন্তু বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে মূল অভিযুক্ত মনোরঞ্জন হাজরা নিখোঁজ ছিলেন। দু’বছর পর গতকাল রাতে এনআইএ-র হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন হাজরা।
জানা গিয়েছে ,গতকাল রাত সাড়ে আটটা নাগাদ গ্রেফতার হন মনোরঞ্জন। গ্রেফতারের পরেই খুশি বিজয় কৃষ্ণের পরিবার। বিজয় কৃষ্ণের স্ত্রী লক্ষ্মী ভূঁইয়ার দাবি, তারা এনআইএ তদন্তে খুশি। তিনি বলেন, মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে, অভিযুক্তের ফাঁসি চাই। বিজেপির তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল, এই ঘটনার পরে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। মূল অপরাধীরা সর্বসমক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের ধরছেনা। মনোরঞ্জন হাজরা গ্রেফতার হওয়ায় বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়ার সঠিক বিচার শুরু হবে , আশাবাদী বিজেপি।
দেখুন অন্য ভিডিও