কলকাতা: কলকাতা টিভির প্রতিবেদন দেখে রতন রায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এক যুবক ও তাঁর দিদি। কিছুদিন আগেই রতন রায়ের মর্মস্পর্শী কাহিনী তুলে ধরেছিল কলকাতা টিভি। চোখে জল আনা কাহিনী মন ছুয়ে গিয়েছিল পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সপ্তর্ষি বৈশ্য ও তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্যের।
আরও পড়ুন- ফ্ল্যাশলাইটের আড়ালে নির্বাসিত কিশোর কুমারের প্রিয় রতন
কলকাতা টিভির মাধ্যমে রতন রায়ের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগ করেন। দুজনে রতন রায়ের বাড়িতে দেখা করেন। রতন বাবুর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব তাঁরা নিয়েছেন। রতন বাবুর স্ত্রী-র চিকিৎসা করাবেন। শুধু তাই নয়, রতন বাবুর যখন চিকিৎসা হবে, তখন তাঁর স্ত্রী-কে সপ্তর্ষিরা নিজেদের বাড়িতে রাখবেন৷
আরও পড়ুন- বিধানসভা নির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী ১০ হাজার সমর্থক নিয়ে যোগ দিলেন তৃণমূলে
সপ্তর্ষি পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হলেও পুরুলিয়ায় আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করেন৷ তিনি সেখানে একটি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন৷ একটা স্কুল আছে৷ সেই স্কুলের শিশুদের পড়াশোনার সমস্ত চাই খরচ বহন করেন তাঁরা। সপ্তর্ষি মনে করেন, সকলকে স্বনির্ভর করতে হবে। তাই, সপ্তর্ষি রতন রায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন- লক্ষ্য ২০২৩-এর বিধানসভা, সোমবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক
যে রতন রায়ের সঙ্গে কথা বলতেন না কেউ এমনকি সামনাসামনি দেখা হলেও মুখ ঘুরিয়ে চলে যেতেন সেই রতন বাবুর পাশে কাউকে পেয়ে আপ্লুত তিনি। একইসঙ্গে কলকাতা টিভি কেউ ধন্যবাদ জানিয়েছেন রতন রায়।