ওয়েব ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ‘সফট ল্যান্ডিং’ করে ইতিমধ্যে মহাকাশে (Space Science) নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করেছে ISRO। একটা সময় যেখানে NASA, ROSCOSMOS, CNSA-র রাজ ছিল, এখন সেখানে বিশ্ববন্দিত ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজ নন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ভারতের স্বাধীনতার ১০০ বছর, অর্থাৎ ২০৪৭ সালের মধ্যে আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের নীল-নক্সা তৈরি করে ফেলেছে ISRO। এবার আসন্ন সব মিশনের তালিকা প্রকাশ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
আগামী ২২ বছর মহাকাশ অভিযানের ধারাবাহিকতার নাম দেওয়া হয়েছে – ‘ইন্ডিয়ান স্পেস ওডিসি’ (Indian Space Odyssey)। কলকাতার সায়েন্স সিটিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ISRO-র চেয়ারম্যান ড. ভি নারায়ণন প্রকাশ করলেন সেই গ্র্যান্ড স্পেস ক্যালেন্ডার। কী কী রয়েছে ISRO-র আগামীর পরিকল্পনায়? চলুন সেটা এবার জেনে নেওয়া যাক।
(১) গগনযান (Gaganyaan): ISRO-র প্রথম মানব মহাকাশ অভিযান ‘গগনযান’ শুরু হতে চলেছে ২০২৫-এড় শেষেই। এই মিশনকে তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দুটি উৎক্ষেপণে কোনও মানুষকে পাঠানো হবে না। শুধুমাত্র ‘ব্যোমমিত্র’ নামের একটি হিউম্যানয়েড রোবট থাকবে মহাকাশযানটিতে। তারপরেই হবে প্রতীক্ষিত মানব মিশন। ২০২৭-এর প্রথমার্ধেই সেই ঐতিহাসিক অভিযান হতে পারে বলে জানান ISRO-র চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁন্দুর’, ISRO’র ভূমিকা কতটা? জানলে গর্বিত হবেন আপনিও
(২) চন্দ্রযান-৪ এবং চন্দ্রযান-৫: ২০৪০ সালে মধ্যে চাঁদে আরও একজোড়া অভিযান চালাবে ISRO। এর মধ্যে চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan-4) চাঁদের মাটি সংগ্রহ করে ফিরবে, যা বিশ্লেষণ করে চন্দ্রযান-৫ (Chandrayaan-5) অভিযানে চাঁদের বুকে আরও শক্তিশালী রোভার নামানো হবে। জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে হবে এই অভিযান।
(৩) মঙ্গল ও শুক্রে অভিযান: মঙ্গলগ্রহে নতুন অভিযানে (Mars Mission) এবার শুধু প্রদক্ষিণ নয়, সরাসরি অবতরণের পরিকল্পনা করছে IRSO। পাশাপাশি, ২০৪৭ সালের মধ্যে শুক্র গ্রহেও অভিযান চালানোর জন্য গবেষণা চালাচ্ছেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
(৪) ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন: ২০২৮ সাল নাগাদ ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনের (Indian Space Station) প্রথম মডিউল তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে ISRO। তবে স্পেস স্টেশনের সম্পূর্ণভাবে তৈরি হবে ২০৩৫ পর্যন্ত। তার প্রস্তুতি হিসেবেই এবছরের আগস্টে ISRO ও NASA যৌথভাবে একটি লঞ্চপ্যাড নির্মাণে হাত দেবে।
দেখুন আরও খবর: