ওয়েবডেস্ক: ভুতুড়ে ভোটার কার্ড (Voter Card)। এই ইস্যু নিয়েই এখন তোলপাড় দেশ। একাধিক রাজ্যে একই এপিক নম্বরের ব্যক্তি ধরা পড়েছে। যা নিয়ে সংশোধনের পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। ভোটার কাণ্ডে গণ্ডগোল মানে ভোট প্রয়োগে গণ্ডগোল। বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সহ বিরোধী দলগুলি ভুয়ো ভোটার কার্ড ইস্যুতে সরব হয়েছে। এর আগে একসময় সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে জোরালো আন্দোলন করেছিলেন সেসময়ের যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ভুতুড়ে ভোটার কার্ড নিয়ে সরব তিনি। এখন আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে ভুয়ো ভোটার কার্ড সমস্যা এড়ানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের। এই প্রেক্ষিতে আজ, শুক্র ও শনিবার ফের সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দিল্লিতে বৈঠক। এই নিয়ে বৈঠকে বসছেন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার।
এবছরের শেষে, নভেম্বর থেকে আগামী দেড় বছরের মধ্যে বাংলা সহ ৯ রাজ্য ও ১ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনগুলিতে ডুপ্লিকেট এপিক কার্ড অথবা ভুতুড়ে ভোটার বা ভুয়ো ভোটার নিয়ে নতুন করে যাতে কোনও রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সে কারণেই গত তিন মাসে বিভিন্ন স্তরের নির্বাচনকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মোট ১৮ টি ক্ষেত্রে নির্বাচনী সংস্কারে পদক্ষেপ করেছে কমিশন। এদিনের বৈঠকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কী নির্দেশ দেন সেদিকে নজর সব রাজনৈতিক দলের।
আরও পড়ুন: উত্তর পূর্বে ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা গৌতম আদানির
তৃণমূলের অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে ভোটার তালিকায় জালিয়াতি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলেছিল। অভিযোগ, খোদ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের স্ত্রী দোয়েল মজুমদারের দুজায়গাতে ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। পাল্টা বিজেপি জানিয়েছে, তারাও ত্রুটি মুক্ত ভোটার তালিকা চায়। তবে দোয়েল মজুমদার বিতর্ক এড়িয়ে গিয়েছে। হরিয়ানা, পঞ্জাব, বিহার সহ একাধিক রাজ্যের ভোটারদের নাম বাংলার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এই ইস্যুতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে নির্বাচন কমিশনে ধরনায় বসতে পারেন। তৃণমূল রাজ্যজুড়ে ভুয়ো ভোটার ধরতে অভিযানও করেছে।