রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। এই অনুষ্ঠানটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দ্বারা আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানটি ভারতের সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের অসাধারণ আকর্ষণ এবং তিন দিন ধরে চলে। কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক ঐতিহ্য প্রদর্শন করা হয়। নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী ব্যান্ডের সঙ্গে অফিসিয়াল সজ্জায় মার্চ পাস্ট করেন। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক, অভিবাদন গ্রহণ করেন। ভারতের বিভিন্ন আধা সামরিক বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীও এই কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন, সংক্ষেপে জানুন সাধারণতন্ত্র দিবসের ইতিহাস
স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লির রাজপথে কুচকাওয়াজ তথা সুসজ্জিত সামরিক বাহিনীর প্যারেড অন্যতম শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ। সমগ্র দেশবাসীর জন্য এদিন গর্বের অনুভূতি। ১৯৫০ সালে প্রথমবার হয় এই বিশেষ কুচকাওয়াজ। দেশ বিদেশের মানুষ গণমাধ্যমে প্রতি বছর এই বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্ত দেখেন। এই বিশেষ কুচকাওয়াজ রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে শুরু হয়ে রাজপথ এবং ইন্ডিয়া গেট পেরিয়ে লালকেল্লা পৌঁছয়। সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি। প্রতি বছরই কোনও না কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতা বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত থাকেন। ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত আরউইন মঞ্চ, কিংসওয়ে, লালকেল্লা ও রামলীলা ময়দান, বিভিন্ন স্থানে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৫৫ সাল থেকে বর্তমান স্থানটি নির্দিষ্ট হয়।
সকাল ১০টায় দিল্লির বিজয় চক থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ শুরু হবে। পাঁচ কিলোমিটারের বেশি পথ চলে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হবে। কুচকাওয়াজে বিভিন্ন রাজ্যের বর্ণিল ছবি, ঐতিহ্য এবং কৃতিত্ব প্রদর্শিত হবে। সেখানে নৃত্য পরিবেশন, লোকগান এবং ভারতের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের উদযাপন হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন