ওয়েব ডেস্ক: জাপানের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভারতের প্রতিনিধি দলের। পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান সন্ত্রাসের মদতদাতা তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব দরবারে পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে জাপানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সহ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। জাপানের (Indian Delegation Japanese) পর আরও চারটি দেশে পহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Attack) এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতের অবস্থান তুলে ধরবেন ওই সাংসদরা। জেডিইউয়ের সঞ্জয় ঝার ৯ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জাপানে পা রেখেই এদিন টোকিওতে গান্ধীমূর্তিতে মাল্যদান করেন সাংসদদের প্রতিনিধিরা। তারপরই চলে যান টোকিওতে ভারতীয় দূতাবাসে।
২২ এপ্রিল পহেলগামে হামলা চালিয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা পর্যটকদের হত্যা করে। সেই ঘটনার জবাবে ৭ মে ২৫ মিনিটের অপারেশন সিঁদুর লঞ্চ করে ভারতীয় সেনা। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা জঙ্গিদের একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। এই সন্ত্রাসবাদ এবং সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই যে চলবে, সেই বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেবেন সর্বদলীয় প্রতিনিধিরা। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারতের জিরো টলারেন্স নীতি তা প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছে। পহেলগামে জঙ্গিহানা, অপারেশন সিঁদুর এবং পাক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অনমনীয় মনোভাব তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছচ্ছে সংসদের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। ৯ সদস্যের দল পাঁচটি দেশে সফর করবেন । এই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয়কুমার ঝা। সেই দলে রয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি সাংসদ হেমাঙ্গ জোশী, অপরাজিতা ষড়ঙ্গী, ব্রিজ লাল, প্রদন বড়ুয়া এবং সিপিএম সাংসদ জন ব্রিট্টাস। এ ছাড়াও রয়েছেন অ্যাম্বাসাডর মোহন কুমার। জাপানের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে যাবে এই দল।
আরও পড়ুন: পহেলগামের আগেই নাশকতার পরিকল্পনা ছিল দিল্লিতে! গ্রেফতার ISI এর ২ স্লিপার এজেন্ট
বৃহস্পতিবার সকালে ওই দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সিবি জর্জ। জাপানে থাকা ভারতীয় রাষ্ট্রদূত জানান, পহেলগামে জঙ্গি হামলার পর জাপান প্রথম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। জাপানে থাকা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে টোকিয়োর ভারতীয় দূতাবাসে আলোচনায় বসেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা-এর নেতৃত্বাধীন দল। সেখানে সিবি জর্জ বলেছেন, ‘যখন জঙ্গি হামলা হয়েছিল, ক্রস বর্ডার টেরোরিজ়ম হয়েছিল, তখন জাপানই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। জাপানের বিদেশমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়ার (H.E. Mr. Takeshi Iwaya) সঙ্গে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অটল অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে, তা বৈঠকে জানানো হয়। তাকেশি ইওয়াইয়া বলেন, ‘যারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত, তাদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে। সন্ত্রাসবাদ দমনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও দায়বদ্ধতা অত্যন্ত জরুরি এবং জাপান সবসময় ভারতের পাশে আছে।’সন্ত্রাসের মোকাবিলা ও দমনে ভারত যে সংযম ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী।
অন্য খবর দেখুন